এই মুহূর্তে আলিপুর চিড়িয়াখানায় রয়েছে প্রায় ১২০০-রও বেশি পশু। এই তীব্র গরমে তাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্যে আগের তুলনায় আরও বেশি করে তাদের দেখভাল করা হচ্ছে। গরমের চোটে যাতে কেউ অসুস্থ না হয়ে যায় নজর দেওয়া হচ্ছে সেই দিকেও।
প্রবল গরমে পশুদের পান ও স্নানের জন্য প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় লক্ষ লিটার জল প্রয়োজন হচ্ছে। রোদ চড়তে শুরু করলেই ধারাস্নানের হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে পশুদের মধ্যে। এক লক্ষ ২০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জলাধার দিনে দু’বার করে ভরতে হচ্ছে পশুদের জলের জোগান দিতে। একই সঙ্গে চিড়িয়াখানার বাসিন্দাদের সুস্থ রাখতে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস। পশুদের ডিহাইড্রেশন এড়াতে জলের ব্যবহারে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য যাতে না-হয়, সেদিকে নজর দিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
খাবারের মেনুতেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। নিরামিষভোজীদের খাবারের তালিকায় যোগ হয়েছে প্রচুর পরিমাণ তরমুজ ও শসা। আমিষাশীদের মেনু থেকে মোষের মাংস কমিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুরগি। টক দই আর ভাত খেয়েই আপাতত আনন্দে দিন কাটছে ভালুকের।
প্রবল গরমে পশুদের সুস্থ রাখা নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলছেন, ‘প্রতিটি পশু-পাখির উপরেই সব সময় নজর রাখা হচ্ছে। কেউ ঝিমিয়ে পড়েছে দেখলেই চিড়িয়াখানার চিকিৎসককে পাঠানো হচ্ছে তাদের কাছে। রোদ চড়ার আগে সবাইকে নিয়ম করে স্নান করানো হচ্ছে।’
সিসিটিভির মাধ্যমে প্রতিটা এনক্লোজারে পশুদের অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। চিড়িয়াখানার ১২০০-র বেশি বাসিন্দার প্রত্যেকেই সুস্থ আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ক্রমাগত নজরদারি চলছে। আচরণে সামান্যতম পরিবর্তন দেখা গেলেই জরুরি তলব পড়ছে চিকিৎসকের। গরমের চোটে পশুরাও নাজেহাল।