কান্দি বিধানসভা উপনির্বাচনে লোকসভা ভোটের মতো তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোটপ্রচারে নামলেন এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। প্রচারে নেমে তাঁরা রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং নিজেদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার কথা তুলে ধরছেন। এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও তাঁদের উৎসাহিত করছেন। যদিও কিছু সংখ্যক গোষ্ঠীর মহিলারা অন্য দলের প্রার্থীর হয়েও প্রচারে নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে। লোকসভা ভোটের সময় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বহরমপুর কেন্দ্রের তূণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকারের হয়ে ভোটপ্রচারে নেমেছিলেন। এবার তাঁরা কান্দি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন। তৃণমূল প্রার্থী গৌতম রায়ের সমর্থনে তাঁরা প্রচার চালাচ্ছেন। প্রচারের শেষ লগ্নে এসে তাঁরা কোথাও বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন। আবার কোথাও নিজেদের মধ্যে মিটিং-মিছিল করছেন।
কান্দি ব্লক প্রশাসন এবং কান্দি পুরসভা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি ব্লক এলাকার ১০টি পঞ্চায়েতে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে প্রায় ১৫০০ এবং সমবায় দপ্তরের অধীন প্রায় ১২০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। যার সদস্যা সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি। আবার কান্দি পুরসভা এলাকায় রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে রয়েছে প্রায় ৭৫০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এর সদস্যা সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। রবিবার কান্দি ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে কয়েকটি নির্বাচনী সভা করা হয়। সেখানে তৃণমূলের কান্দি ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার ভোটের রণকৌশল এবং প্রচারে মাঠে নামার জন্য উৎসাহিত করেন। সোমবার সকাল থেকে মহিলারা ব্যাপকভাবে প্রচার শুরু করেছেন। এব্যাপারে ব্লক সভাপতি পার্থবাবু বলেন, “রাজ্য সরকারের সহযোগিতার কারণে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বেশিরভাগ মহিলাদের আর্থিক সমৃদ্ধি হয়েছে। তাঁরা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়েছেন। তাই তাঁরা রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে স্বেচ্ছায় ভোটপ্রচারে নেমেছেন”।
মহালন্দি গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রী মতিহারা বিবি বলেন, “লোকসভা ভোটে আমরা বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকারের হয়ে প্রচারে নেমেছিলাম। এবার উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী গৌতম রায়ের সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছি”। এলাকার গোষ্ঠীর মহিলাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে ওই গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছেন। ভোটাররা যাতে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট দিতে উৎসাহিত হন সেজন্য তাঁরা নিজেদের স্বনির্ভরতার ঘটনা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।