দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট মিটেছে ২৯ এ এপ্রিল। তারপরেও সেখানে হিংসা হানাহানি অব্যাহত। এবার নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানে শাসকদলের কর্মীদের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হলো দুর্গাপুরের কাঁকসা। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান-সহ সাতজন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চলল ভাঙচুর। সংঘর্ষে আহত ৮ জন।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেলে। কাঁকসা থানার অন্তর্গত মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের আকোন্দারা গ্রামে নাম-সংকীর্তনের অনুষ্ঠান চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন সেখানে ঝামেলার সূত্রপাত ঘটায় ওই এলাকারই এক যুবক। সেই যুবক এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে মলানদিঘি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিশুটির পরিবারের লোকেরা।
অভিযোগ, এরপরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়-সহ এলাকার সাতজন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পালটা ভাঙচুর চালান সেই যুবক ও তাঁর বন্ধুরা। এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ এরা মূলত বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। মারধর করা হয় এলাকার তৃণমূল কর্মীদেরও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, সেখানে কমব্যাট ফোর্স নামাতে হয়। মঙ্গলবার সকালেও থমথমে মলানদিঘির আকোন্দারা গ্রাম। এলাকায় মোতায়েন প্রচুর পুলিশ।
মলানদিঘির বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীরা অনেকদিন ধরেই গ্রামে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়ের ওপর এর আগেও হামলার ছক কষেছিলো এরা। জানা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে রাতভর কাঁকসা থানায় ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ভোরে গ্রামে ফেরেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, এরা আসলে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। বিজেপির মদতেই এরা তাঁর বাড়িতে ও অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।