৩৪ বছরের সূর্য এক নিমেষে অস্তমিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততার সামনে। গোটা বাংলার মানচিত্র থেকে মুছে গেছে লাল রঙ। প্রতিটি মানুষ এখন আস্থা রাখেন মমতার উন্নয়নেই। ব্যর্থ হবে জেনেও লড়াইয়ের ভ্রান্ত চেষ্টা করে চলে বামেরা। আর প্রতিবারেই কিছু না কিছু বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সিপিএম। এবার এক নাবালকের হাতে লাল ঝান্ডা ধরিয়ে দিয়ে কমিশনের প্রশ্নের মুখে বাম প্রার্থী।
১২মে উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী কনীনিকা বোস ঘোষের সমর্থনে চিড়িয়া মোড় থেকে এন্টালি পর্যন্ত একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে একটি ১৪ বছরের কম বয়সের একটি ছেলেকে সিপিএমের ঝান্ডা হাতে হাঁটতে দেখা যায়। মিছিলের সামনের লাইনেই ছিল ছেলেটি। এই ছবি বামফ্রন্টের একটি ফেসবুক পেজ পোস্ট করে। বিতর্কের শুরু হয় সেই পোস্ট থেকেই।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এত কম বয়সী এক বাচ্ছার হাতে কি করে দলের পতাকা ধরিয়ে দেওয়া যায়? ইলেকশন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৪ বছরের কম কোনও নাবালক বা বালিকাকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যায় না। এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতার বাম প্রার্থীর উত্তর বেশ অবাক করা। কনীনিকা বোস ঘোষ বলেন , “ওই ছেলেটি আমাদের থেকে পতাকা চেয়েছিল। আমরা দিয়েছি। এতে কি হয়েছে?” এই কথায় যে নির্বাচন কমিশনের চিঁড়ে ভেজেনি তা বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এইরকম কাজ করার পরেও তাঁর ঔদ্ধত্য দেখে।
কিছুদিন আগে এই একই অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধেও। বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ম্যায় ভি চৌকিদার লেখা প্ল্যাকার্ড-সহ একদল শিশুর ভিডিও ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি, ওই ভিডিওতে সামরিক বাহিনীর পোশাকও ভোট প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সিইও আরিজ আফতাবের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।