ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল। প্রকাশ্যে স্বীকৃতি পেল রাম-বাম জোট। আর এই স্বীকৃতি দিলেন খোদ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। রাম-বাম জোটকে ‘অন্যরকম গঠবন্ধন’ আখ্যা দিলেন তিনি।
অনেক আগে থেকেই রাম-বাম জোট বেঁধেছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে অনেক জায়গায় সিপিএম এবং বিজেপি জোট বেঁধে বোর্ডও গঠন করেছে। একই সঙ্গে উড়েছে গেরুয়া আর লাল আবির। ‘জয় শ্রী রাম’-এর সঙ্গে মিশে গেছে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান। কিন্তু কখনওই বিজেপি বা সিপিএমের নেতারা প্রকাশ্যে এই জোটের কথা মানতে চাননি। এবার বিজেপি নেতা তথা গেরুয়া শিবিরের রাজ্যসভার সংসদ প্রকাশ্যেই সেটা স্বীকার করে নিলেন। মেনে নিলেন বাংলায় তৃণমূলকে হারাতে বিজেপি এবং বামেরা হাত মিলিয়েছে। বাংলায় তারা একসঙ্গে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, কেবলমাত্র তৃণমূলকে হারাতেই বামেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভোট দিচ্ছে বিজেপিকে। মঙ্গলবার অলিখিত এই জোটের কথা জানিয়ে একটি টুইটও করেছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত।
ওই টুইটে স্বপনবাবু লিখেছেন, ‘বাংলার জেলায় জেলায় এক অন্যরকম গঠবন্ধন দানা বাঁধছে। স্বেচ্ছাচারী তৃণমূলকে হারাতে বামেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভোট যাচ্ছে বিজেপির বাক্সে। তাই দিদি ভয় পেয়ে হুমকি দিচ্ছেন ২৩ মে-র পর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেওয়া হবে’।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের শেষ লগ্নে এসে বিজেপি নেতারা বুঝছেন, বাংলার মাটি দূর্জয় ঘাঁটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বীকৃতি এসেছে সাগরপাড় থেকে। একাধিক প্রকল্প বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। ফলে সহজে বাংলায় তৃণমূলের জমিতে দাঁত ফোটাতে পারবে না বিজেপি। তাই ধূর্ততার আশ্রয় নিয়েছে তারা।
কংগ্রেস এখানে মৃতপ্রায়। বামেরাও তাই। কিন্তু তারা ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। তাদের হঠিয়েই সরকার গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই বামেরা ক্ষুব্ধ। তাদের ‘ক্ষোভ’ কেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই অলিখিত জোট গড়েছিল তারা। এতদিনে স্বপন দাশগুপ্তের মতো কোনও বিজেপি নেতা সেটা স্বীকার করলেন।