বাংলায় সেই ভাবে ফণা তুলতে না পারলেও উড়িষ্যাকে ছারখার করে দিয়েছে ফণী। ফণীর দাপটে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৫ জন মানুষ। প্রবল শক্তিশালী হাওয়ায় উড়ে গেছিল টিনের চাল, ভেঙে পড়েছিল মোবাইল টাওয়ার, ক্রেন। তবে এখানেই শেষ নয়। ফণীর তাণ্ডবে উড়িষ্যার ৬,৪৯৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে নষ্ট হয়েছে ২০ লক্ষেরও বেশি গাছ।
সরকারি এক রিপোর্টে এই ভয়ঙ্কর তথ্যই জানানো হয়েছে। রাজ্য গণশিক্ষা দফতরের হিসেব অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক ৪১৭.৮৩ কোটি। অন্য দিকে, বন দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ফণীর জেরে ২ লক্ষেরও বেশি গাছ বিনষ্ট হয়েছে। আবার আগের অবস্থায় সবুজ ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে বলেই জানাচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
রাজ্যের ঊর্ধ্বতন এক সরকারি আধিকারিকের রিপোর্ট বলছে, ১৪টি জেলার ৬,৪৯৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরীতেই সবথেকে বেশি ২,১৩৪ স্কুল তছনছ হয়েছে। ফণী নিয়ে আগাম মোকাবিলার জন্যে এর থেকে আরও বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ফণী নিয়ে বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর থেকেই সব জায়গায় শুরু হয়েছিল তুমুল সতর্কতা। তৈরি ছিল কলকাতাও, তবে উড়িষ্যাতে আছড়ে পড়ার পরেই ক্রমাগত শক্তিক্ষয় হচ্ছিল তাঁর। তাই কলকাতা মুখোমুখি হয়নি ফণীর প্রাবল্যের।