অন্যের ঘর ভাঙিয়ে নিজের দলে লোক টানতে বিজেপির জুড়ি মেলা ভার! ২০১৪ – তে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেখা গেছে, ভয় দেখিয়ে বা অন্যান্য উপায়ে বিরোধীদের ঘর ভেঙে মোদী নিজের দলে অনেক নেতা-মন্ত্রীকেই নিয়ে এসেছেন। এবার তাঁর দেখানো পথে তাঁকেই হটানোর রাস্তা দেখালেন বিরোধীরা।
লোকসভা ভোটের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরে সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একরকম হুমকির সুরেই বলেছিলেন, ২৩ মে এর পর রাজ্যের ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপি তে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দেননি। তাঁকে এই নিয়ে কোথাও মন্তব্য করতেও দেখা যায়নি।
এবার মোদীকে পাল্টা তাঁর ভাষাতেই জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল। তিনি বলেছেন ২৩ মে এর পর একাধিক বিজেপি বিধায়কই দল ছাড়বেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বেনুগোপাল দাবি করেছেন, কংগ্রেস মোদী সরকারের মতো কোনওরকম ঘোড়া কেনাবেচা সমর্থন করে না। তবে বিজেপি বিধায়করা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই দল ছাড়বেন। কারণ তাঁরা নিজেদের দলের প্রতি ক্ষুব্ধ এবং বিজেপির বর্তমান কার্যকলাপ নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন।
বেনুগোপাল আরও দাবি করেছেন, গত এক বছর ধরে কর্নাটকে বিজেপি সুনিপুনভাবে কংগ্রেস সরকার ভাঙার মরিয়া চেষ্টা করেছে। এবার তাদের পালা। বিজেপি যতই কংগ্রেস-জেডিএসের মধ্যে যতই ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করুক না কেন তারা এক হয়েই লোকসভা ভোটে লড়বে বলে জানিয়েছেন বেনুগোপাল।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে নিজেদের দলের বিধায়কদের গুরুগ্রামের একটি হোটেলে আটক করে রাখার অভিযোগ উঠেছিলো বিজেপির বিরুদ্ধে। বিধায়কদের অভিযোগ ছিলো, তাঁরা দল ছাড়বেন এমনটা ভেবেই তাদের আটক করে রাখা হয়েছিল।