প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রেখে লিভারপুলকে পেছনে ফেলে লিগের মুকুট ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গুয়ার্দিওলাও জানিয়েছেন, এটাই তার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন শিরোপা।
রবিবার প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি আঁকড়ে নাচতে দেখলে বোঝা যায়, কত আপন করে ফেলেছেন ট্রফিটাকে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সমর্থকরাও খুশি এ রকম একজন স্কোরারকে পেয়ে। মানুয়েল পেয়েগ্রিনি, রবের্তো মানচিনি, পেপ গুয়ার্দিওলা– কোচ এসেছেন, গিয়েছেন। আগুয়েরোর স্কোরিং দক্ষতায় কোনও বদল নেই। এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, গুয়ার্দিওলার আমলে প্রতি ৯৯.৮ মিনিটে একটা করে গোল করেছেন আর্জেন্তিনীয় ফরোয়ার্ড। যে রেট আগের দুই কোচের সময়ের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।
ইপিএল জিতে দারুণ খুশি গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘‘কঠিন লড়াই আমাদের আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।’’ লিভারপুলের প্রশংসাও করে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘লিভারপুলকে অভিনন্দন। সাধারণত ১০০ পয়েন্ট পাওয়ার পরে ছন্দপতনের সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু ওদের জন্যই আমরা ছন্দটা ধরে রাখতে পেরেছি।’’বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের ম্যানেজার হিসেবে লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। ম্যান সিটিতেও কি সেই কীর্তি গড়তে পারবেন ৪৮ বছর বয়সি স্প্যানিশ ম্যানেজার। আত্মবিশ্বাসী গুয়ার্দিওলা বলছেন, ‘‘পরপর দু’টো মরসুম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে মনে হবে, তৃতীয়বারও জিতব। আমার এখন সেই অনুভূতিই হচ্ছে। চেষ্টা করব পরের মরসুমেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’’
তবে এখনই থেমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। রবিবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কিছু পর ব্রাইটনের মাঠে দাঁড়িয়ে আগুয়েরো জানিয়ে দিলেন তাঁর পরবর্তী লক্ষ্যের কথা। বলেছেন, ‘এ বারের মতো পরের মরসুমেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এ বার একটা অফসাইডের জন্য আমাদের ছিটকে যেতে হয়েছিল। পরেরবার আমরা শেষ পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করব।’ ব্যক্তিগত লক্ষ্যও সাফ জানিয়েছেন। আগুয়েরোর কথায়, ‘দিনের শেষে একটা ব্যালন ডি’ওর জেতার জন্য আর যা-ই হোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা দরকার।’সাত বছরে চারটে প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি, চারটে লিগ কাপ। এ বছর একটা এফএ কাপ ট্রফি অপেক্ষায়। স্কোরিং রেট থিয়েরি অঁরির থেকেও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগে সর্বকালের টপ স্কোরারদের তালিকায় চলে এসেছেন ছ’নম্বরে। নামের পাশে ১৬৪ গোল। আর ১২ গোল করলে টপকে যাবেন পাঁচে থাকা অঁরিকে (১৭৫)। এই লিগের ইতিহাসে যত বিদেশি খেলেছেন, গোলের সংখ্যায় সবাইকে টপকে যাবেন আগুয়েরো।