আগামী ১৯ শে মে বারাসত কেন্দ্রে লোকসভা ভোট। তার আগেই এলাকায় বহিরাগত ঢুকিয়ে বিজেপির সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা ব্যর্থ করলেন এলাকার মানুষজন।
গত সোমবার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন মণ্ডলের বাড়িতে গোপন বৈঠকে বসেন বিজেপির নেতারা। দিল্লি থেকে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। ছিলেন জেলা সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠক চলাকালীন জেলার সাধারণ সম্পাদকের বাড়ির সামনে দশটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকার মানুষজনের। তারা বুঝতে পারে ওই গাড়িতে অস্ত্র এবং টাকা নিয়ে ঢুকেছে বহিরাগতরা। সেটা বুঝতে পেরেই তারা হামলা করে গাড়িগুলোর ওপর। পাঁচটি গাড়ি বিপদ বুঝে দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালায়।। বাকি পাঁচটি গাড়ির ড্রাইভার সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সেগুলো তুহিনের বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়েছিলো।
এলাকার মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিন মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে রাখে। বিজেপি নেতাদের তালা দিয়ে ঘরবন্দি করে রাখেন। খবর দেওয়া হয় বারাসত থানায়। পুলিশ তুহিনের বাড়ির তালা খুলে ভেতরে ঢোকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সকলকে বারাসত থানায় নিয়ে আসে। আটক করা হয় পরে থাকা পাঁচটি গাড়িও। এলাকার মানুষজন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে থানায় আসেন বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। আটক হওয়া পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটিতে তিনটি স্টার দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী। ওনার অভিযোগ, “একজন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতা ও বিজেপি কর্মীরা অস্ত্র ও টাকা বিলি করতে এসেছে এবং ভোটের ঠিক আগে এলাকায় বহিরাগত ঢুকিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি চেষ্টা করতে চাইছে।” এ বিষয় তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন ও সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান কাকলি।