সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই বাংলায় অশান্তি পাকাতে চাইছে বিজেপি। প্রমান করতে চাইছে বাংলা অশান্ত, এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলল বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
তাদের কথায়, যখনই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ১৬৮ বুথে পুনঃনির্বাচনের ঘোষণা করল কমিশন, তখনই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়া হল। আসলে বিজেপি প্রমান করতে চাইছে, বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে বিজেপি অবাধে বুথ দখল করে রিগিং করতে পারবে, তাই শুরু থেকেই বঙ্গ বিজেপির নেতারা ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন দিল্লীর নির্দেশ মতো কাজ করছে। তাই ২৫ টি কেন্দ্রের মাত্র ৬ টি বুথে পুনঃনির্বাচন করাতে সিএপিএফ-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আর সেটা করেছে মোদী সরকারের নির্দেশেই। দিল্লীর অঙ্গুলিহেলনেই নির্বাচন কমিশন বাংলায় তৃণমূলকে টার্গেট করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও বিজেপির কথা মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ। তাই আরএসএস সেন্ট্রাল বাহিনীর ছদ্মবেশে কাজ করছে, রিগিং করাচ্ছে এবং ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে বাধ্য করছে।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, রাজনৈতিকভাবে লড়তে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই এভাবে নিম্নরুচির পরিচয় দিচ্ছে। বাংলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই, তাই নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে জিততে চাইছে গেরুয়া শিবির।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপি বাংলার জনগণকে ভয় পাচ্ছে। তাই সুষ্ঠ নির্বাচন করাতে ভয় পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের দলে টেনে বাংলায় ভোট করাচ্ছে। অবশ্য, এতকিছুর পরেও বাংলার ভোটারদের একচুলও প্রভাবিত করতে পারেনি বিজেপি। উল্টে প্রথম দফার পর থেকেই স্ববিরোধী অবস্থান নিয়ে বসে আছেন তাঁরা। একদিকে বিজেপি নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সুষ্ঠ ভোট করাতে ব্যর্থ, অন্যদিকে তাদের দাবি, অধিকাংশ বুথে বেনিয়ম হলেও জয় হবে তাদেরই। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতারা স্ববিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।