ভোটপ্রচারে বেরিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন আর কুকথা বলছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। এবার সে ধারাই বজায় রাখলেন বিজেপির বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমি বলছি বাড়িতে লাঠি, টাঙ্গি, বঁটি রাখবেন। বাইরের লোক যখন গ্রামে ঢুকতে আসবে ডাকাত বলে পিটিয়ে মারবেন।’ এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
নানুরের বড়ডিহা গ্রামে এসেছিলেন দিলীপ। সেখানেই গ্রামবাসীদের নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমি বলছি, ঘরে কাঁসর-ঘন্টা রাখবেন, ফোম রাখবেন। বাইরে থেকে কেউ এলে সবাইকে ফোন করে, বেরো বেরো বলে চিৎকার করবেন। লাঠিসোঁটা, টাঙ্গি, বঁটি সব প্রস্তুত রাখবেন। বাইরের লোক যখন গ্রামে ঢুকতে আসবে, ডাকাত বলে পিটিয়ে মারবেন। কোনও চিন্তা নেই, নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে।’ জেলা স্তরের এই নেতা, যিনি পেশায় আইনজীবী, দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর এমন এমনই ভয়ংকর নিদান ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক। তৃণমূলের অভিযোগ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে শান্ত নানুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।
তবে নিজের মন্তব্য নিয়ে লজ্জিত হওয়া তো দূর, উল্টে এখন সাফাই গাইছেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দিলীপ। তৃণমূলের ঘাঁড়ে দায় চাপাতে তিনি বলেন, ‘২৩ তারিখের পর বিজেপি কর্মীদের গ্রামছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। আমি কর্মীদের প্রতিরোধ করা কথা বলেছি।’ উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। এর আগে ৫মে ভোটের দিনকয়েক পরেই লাভপুর বিধানসভা এলাকার দাঁড়কায় গিয়ে দিলীপ বলেছিলেন, ‘লাঠি, ডাং রেডি রাখো। মেয়েরা দরকারে বঁটি ধরবে। ঘিরে পিটিয়ে মেরে দিতে হবে।’ দিলীপের এবারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নানুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছে। গ্রামের মানুষ গ্রামে থাকবে। কিন্তু বিজেপি গ্রামে গিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা করছে।’