সোমবার সন্ধেয় বারুইপুরের রেলমাঠে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর সমর্থনে এক সভায় আসেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বিধায়ক বৈশালি ডালমিয়া, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এই সভা থেকেই অনুব্রত প্রশ্ন তোলেন পাঁচ বছরে মোদী কি করেছেন? তাঁর কথায়, “যিনি নিজের স্ত্রীকে ভাত দেন না, পরিবারকে ভালবাসেন না, তিনি মানুষের পরিবারকে ভালবাসবেন কী করে। বিজেপি দেশে ১০০ থেকে ১২০টির বেশি আসন পাবে না”। অন্যদিকে, গতকাল রাতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর সমর্থনে সোনারপুরের রাজপুর মালঞ্চ থেকে একটি রোড শো–তে যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুব্রত এদিনের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে কটাক্ষ করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গালি দিচ্ছেন। আর মিথ্যা কথা বলছেন। আরেকজন গুজরাট থেকে এসে মিথ্যা কথা বলছেন। বিজেপি–র লোকেরা সবুজসাথীর সাইকেল চড়ছে। পাগলের মতো ‘শ্রীরাম’ ধ্বনির অপব্যবহার করছে”। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরাকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বাজে ছেলে দাঁড়িয়েছে। ওকে বোলপুর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। সকালে অফিসে এসে ডাব তুলত, গ্লুকোজ দিত। ৩ লক্ষ ভোটে হারবে। হেরে যাওয়ার পর কাঁকুড়গাছি যাবে। ওকে ভোট দিলে ভোট জলে যাবে। ভাল নয়, অতি বাজে”। তৃণমূলের কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রতর বার্তা, “সকাল সকাল মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে তা দেখবেন। আর সবাই ভোট দেবেন। প্রত্যেক বুথে নকুলদানা রাখবেন”। এছাড়াও বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে উদ্দেশ করে অনুব্রত বলেন, “কে কাকে গুলি করবে তা দেখা যাবে”। অনুব্রত এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শ্রদ্ধা করি। বুথের বাইরে আপনারা দাঁড়াবেন। মানুষ ভয় পাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের ভয় দেখাবেন না। যদি ভুল হয় শুধরে দেবেন”।