লোকসভা ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল পেতে দেরি হতে পারে একদিন। ভোটগণনা নিখুঁত ও নির্ভুল করতেই এই অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। কথা ছিল ২৩ মে ভোটের ফল বেরোবে কিন্তু সেটা ২৪ মে হতে পারে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এবার ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট, ইলেক্ট্রনিক পোস্টাল ব্যালট রয়েছে। এগুলি গুনতেই ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ২৩ মে সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে। বুথ–পিছু ৫টি করে ভিভিপ্যাট গুনতে হবে। একটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ৭টি বিধানসভা থাকে। একটি বিধানসভার ৫টি করে, মোট ৩৫টি ভিভিপ্যাট গুনতে হবে। ফলে চূড়ান্ত ফল বেরোতে ২৪ মে হয়ে যাবে। তবে ২৩ মে দুপুর ১২টার মধ্যে ফলাফল সম্পর্কে কিছুটা আভাস পাওয়া যাবে”। এদিন সঞ্জয় বসু জানান, “গণনায় যাতে কোনওভাবে ভুল না হয় তার ওপর নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিয়েছে। গণনা হবে নিখুঁত”।
এদিন সকালে উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন সপ্তম দফার ভোট নিয়ে কলকাতা পুলিশের নগরপাল–সহ রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠক করেন। ৯টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা প্রত্যেকে আলাদাভাবে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন। বৈঠকে ছিলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ড. আরিজ আফতাব–সহ কমিশনের অন্য আধিকারিকেরা। ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। এদিন সুদীপ জৈন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মডেল কাউন্টিং সেন্টার ঘুরে দেখে খুশি। রিটার্নিং অফিসার ও ডিও–রা সেন্টারটি দেখেছেন। বিকেলে তিনি গণনার বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, ডিও–সহ অন্য আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “সপ্তম দফার ভোটে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে পর্যালোচনাও করা হয়েছে”।