ক্ষমতায় আসার আগে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সেই কথা মত কাজ তো হয়ইনি, উল্টে সমীক্ষা অনুযায়ী গত ৪৫ বছরে মোদী জমানাতেই সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্বের হার আর অন্যদিকে মমতার আমলে হ্রাস পেয়েছে ৪০% বেকারত্ব। তাই তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী হিসাব দাও’— এই শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হল যেখানে মোদীর ২ কোটি কর্মসংস্থানের কি হল, তাই নিয়ে হিসেব চাওয়া হল।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের এক যুবক জিজ্ঞাসা করছেন, “ কোনও চাকরি আছে আপনার কাছে? যে কোনও কাজ, আমি তো স্নাতক যে কোনও কাজ করতে পারব”। এরপরে মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে সেই যুবককে বলতে শোনা যায়, যিনি ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিলেন, ওনার ভুলভাল নীতির জন্যে ১ কোটি মানুষের চাকরি চলে গেছে। চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো দালালদের তো অনেক দেখেছি এবার ভোট লুঠকারীদেরও দেখলাম”। এরপরে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, এর জন্যে দেশের তরুণ সমাজ মোদীকে ক্ষমা করবেন না। তিনি জানতে চান এই ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের হিসেব কে দেবেন?
একদিকে যখন দেশের তরুণদের এমন হাল অন্যদিকে মমতার বাংলায় উপচে পড়ছে কর্মসংস্থান। ব্যারাকপুর নিবাসী এক যুবক অমর পাল, তাকে বলতে শোনা যায়, “ ছেলে মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে প্রভূত সাহায্য করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ছেলেমেয়েরা যে বাংলাতেই ভালো ভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন, ভালো অঙ্কের মাইনে পাচ্ছেন আর এই সব কিছুই যে মমতার সৌজন্যেই সেই কথাও ফুটে ওঠে বারবার। তৃণমূলের আমলেই যে বাংলায় প্রচুর বিখ্যাত সংস্থা এসেছে তাও স্পষ্ট ভাবে জানান দেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগের এক সমীক্ষায় দেখা গেছিল গত ৪৫ বহরে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব এসেছে মোদী জমানাতেই। অন্যদিকে মমতার বাংলায় বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে ৪০%। শুধু তাই নয় মোদীর জমানায় যখন কৃষকদের হাল রোজ খারাপ হয়েছে তখন মমতার বাংলায় কৃষকদের আয় বেড়েছে ৩ গুণ। বেকারত্ব হ্রাস করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। যেমন, বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত হয়েছে কর্মতীর্থ। এসেছে বহু নতুন সংস্থা যেখানে চাকরি পেয়েছেন বহু তরুণ-তরুণী। এনেছেন যুবশ্রী, গতিধারার মত প্রকল্প যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন বহু যুবক-যুবতীরা। ক্ষমতায় আসার আগে মমতা কর্মসংস্থান সংক্রান্ত যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সবটাই পালন করেছিলেন তিনি অন্যদিকে মোদী এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
মমতার বিভিন্ন জনদরদী প্রকল্প সমাদৃত হয়েছে বিশ্বের দরবারে। রাষ্ট্রপুঞ্জে পুরস্কৃত হয়েছে কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মত প্রকল্প। মমতার আমলেই উন্নয়নে ভরে উঠেছে বাংলা, আর সেই বাংলাকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘কাঙাল বাংলা’। এহেন মিথ্যা কথা বাংলার মানুষ সহজে মেনে নেবে না। তাই আগামি ১৯ তারিখ ভোটবাক্সেই এর যোগ্য জবাব দেবেন।
এবার গোটা দেশের কাছেই বাংলার এই অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে তৃণমূল জানতে চায় দেশের কর্মসংস্থানের হিসেব। তারা বলছে, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসাব দাও’। ভিডিওর শেষে বাংলার উন্নয়ন এবং অধিকারের স্বার্থে, ধর্মনিরপেক্ষ-প্রগতিশীল সরকার গড়ার লক্ষ্যে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।