গতকাল বাংলায় ছিল ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট পরবর্তী অশান্তি অব্যাহত রয়েছে। শালতোড়ে পাঁচজন তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আবার মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ এই দুটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, বারাকপুরেও তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গেরুয়া বাহিনী ওই তৃণমূল কর্মীর গাড়িতে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে ভোটের পরেও উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা।
রবিবার ষষ্ঠ দফায় ভোট হয়েছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে। এদিন সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিজেপির তান্ডবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। আর ভোটপর্ব শেষেও ছবিটা একই থেকে গেছে। রবিবার রাতে মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর টোটন শীলের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না টোটনবাবু। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। মারধর করা হয় মহিলাদেরও। গোটা বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন টোটন শীল।
রবিবার মেদিনীপুরে ভোটপর্ব মিটতেই শালবনি ব্লকের মুসিনা গ্রামে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বাঁকিবাঁধ বুথে কর্মরত তৃণমূলের কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি মোটরবাইকে চড়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উপর চড়াও হয়। কোনও কথা না বলে, তৃণমূল কর্মীদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধরের পাশপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁদের। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তাঁদেরকে মেদিনীপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।