বালাকোট ঘটনার পর আবার একটি অযৌক্তিক দাবি সংবাদমাধ্যমের সামনে করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একেই বালাকোট হামলার বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ছে না। ভারতের সাধারণ মানুষকে নিজের সাফল্যের গল্প শোনাতে গিয়ে তিনি এমন একটি বক্তব্য রেখেছিলেন যা স্বাভাবিকভাবেই হাস্যকর। সেনাবাহিনীর সাফল্যকে তিনি প্রথম থেকেই নিজের বলে চালাতে চেয়েছিলেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীরা পর্যন্ত তার নিন্দা করেছিলেন। এবার তিনি দাবি করলেন, ভারতে সর্বপ্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলেন তিনিই। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রঙীন ছবি তুলেছিলেন- এমনটাই তার বক্তব্য। যদিও কোডাক এর ডিজিটাল ক্যামেরা প্রথম চালু হয় ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে।
তবে এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। আরও এগিয়ে গিয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৮৮ সালেই তিনিই প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করেছিলেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভালো, বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেড (ভিএসএনএল) ভারতে সাধারন মানুষদের জন্য সর্বপ্রথম ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেন ১৯৯৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে।
সাধারণভাবেই, প্রধানমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্যে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অর্থনীতিবিদ রূপা সুব্রহ্ম্যমনিয়ম বলেছেন, “যেখানে সাধারণ মানুষ ১৯৯৫ সালের আগে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতো না, সেখানে মোদীজি হয়তো কোনোভাবে ১৯৮৮ সালেই ব্যবহার করে ফেলেছেন।”
এআইএমআইএম এর লিডার আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, “উনি এতটাই গরীব ছিলেন যে ওনার কাছে টাকাপয়সা থাকতো না। কিন্তু তিনি ডিজিটাল ক্যামেরা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন… তাও ১৯৮৮ সালে। এটা একটি হাস্যকর দাবী ছাড়া আর কিছুই নয়।”
আসলে ভোটে জেতার জন্য তিনি নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন। কারণ তিনি পরিষ্কারভাবেই বুঝতে পেরেছেন, নিজের প্রধানমন্ত্রীর গদি সামলে রাখা চাপের। তাই সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তিনি এমন আজব দাবি করছেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির রোল উঠেছে।