২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। পাঞ্জাবে বিজেপির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলে ভোটে তারা গো-হারা হারবে এমনটা বুঝতে পেরেই সানি দেওলকে ভোটে দাঁড় করিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে তারা।
যদিও বিজেপির হয়ে ছেলে ভোটে দাঁড়ানোয় খুশি নন প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। উনি বলেছেন, “আমি জানতাম না যে সানি ভোটে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রথমেই যদি জানতে পারতাম তাহলে আমি ওকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াতে দিতাম না।” আর বাবার এহেন বক্তব্যে ভোটে জেতার ক্ষেত্রে খানিকটা যেন ব্যাকফুটে চলে গেলেন ছেলে- এমনটাই ভাবনা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
একসময় এই বিজেপির হয়েই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন এই প্রবীণ অভিনেতা। ভোটে জিতে সাংসদ ও হয়েছিলেন। তারপরেও কেন তিনি এ হেন বক্তব্য রাখলেন? কেন তিনি ছেলেকে ভোটে দাঁড়াতে দিতেন না? এই নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, গুরুদাসপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল ঝাকার তাঁর সন্তানসম। বলরাম ঝাকার এর ছেলে। তাই আমি চাইনি, সানি তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। অর্থাৎ, তিনি এখানে সম্পর্কে বেশি প্রাধান্য দিতে চেয়েছেন।
যদিও বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপির হয়ে ভোটে জেতার পরেও তিনি দলের থেকে কোনোরকম সম্মান পাননি। একজন প্রবীণ অভিনেতা এবং প্রাক্তন সাংসদের কাছে এ হেন আচরণ যথেষ্ট অপমানজনক। আর জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গোটা দেশেই এখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তাই তিনি চাননি, তাঁর ছেলে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াক।