গতকাল, রবিবার রাজ্যে ছিল ভোটপুজোর ষষ্ঠী। আর ও’দিন আগের সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে এক অভিনব কায়দায় ভোট লুঠ করতে চাইল বিজেপি। এবং সে কাজে তারা ব্যবহার করল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে! যার ফলে এই মুহূর্তে সরগরম ভোট মরশুমের রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের চাপ সৃষ্টি করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এর জেরেই গতকাল ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের শালবনির মহারাজপুরে দুটি বুথে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভোটারদের বিক্ষোভের জেরে ২৩৪ এবং ১৮৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে সকাল থেকেই একাধিক এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে আসতে থাকে৷ বেলায় জানা যায়, দুটি বুথে ভোটারদের ঢোকার সময় কানের কাছে গিয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য। পরে অভিযুক্ত জওয়ানকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে নতুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, এ নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকালই তাঁর নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ‘আমার সন্দেহ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উর্দি পরে আরএসএস ঢুকেছে। ওরা গুলি চালাচ্ছে। একজন আহত হয়েছেন।’ তিনি এমনও অভিযোগও করেন, ‘ওঁরা লাইনে দাঁড়ানো লোকেদের মোদীকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন।’ তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘যাঁরা এই কাজগুলো করাচ্ছেন তাঁদের বলছি, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেব। গণতান্ত্রিক বদলা। ছেড়ে কথা বলব না। এভাবে বাংলাকে অপমান করতে পারেন না। কে আপনি, আইন শৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করছেন? এটা রাজ্যের বিষয়। রাজ্য পুলিশ কি পুলিশ নয়? এটা অসাংবিধানিক।’