রাজ্যে সভা করতে এসে ফের একবার বাংলা এবং বাঙালিকে অপমান করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অমিত শাহ। জয়নগরের একটি প্রচার সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে শাহ বলেন, ‘কাঙাল বাংলা’। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলার আম জনতা। তাঁদের প্রশ্ন, বাংলা যদি কাঙালই হয়, তাহলে এ রাজ্যে সভা করতে এলেন কেন অমিত শাহ?
এবারেই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলা এবং বাঙালির উদ্দেশ্যে অপমানসূচক মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ। এনআরসি করে অনাগরিক বাঙালিদের চিহ্নিত করে ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে সব সীমা পার করে গেলেন তিনি। রাজ্যকে ‘কাঙাল বাংলা’ বলে বাঙালিদের শুধু অপমানিতই নয়, চূড়ান্ত লজ্জিত করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি যেখানে তার পছন্দের ভোট পাচ্ছে না, সেখানেই বিভেদ সৃষ্টি করছে, গন্ডগোল পাকাতে চাইছে, মানুষকে অপমান করছে। বাংলা ও বাঙালি তাদের বহুদিনের টার্গেট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনী ইহুদীদের ক্ষেত্রে যা করেছিল, মোদী-শাহর বিজেপি আসামের বাঙালিদের ক্ষেত্রে তাই করছে, বাংলার বাঙালিদের ক্ষেত্রে তেমন করার হুমকি দিচ্ছে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। একটি টুইটে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘আজকের একটি সভা থেকে এই রাজ্যকে ‘কাঙাল বাংলা’ বলার স্পর্ধা করেছেন ঘৃণ্য অমিত শাহ। সপ্তম দফার ভোটে বাংলার মানুষ মোদী এবং শাহকে এর যোগ্য জবাব দেবে। এমন বক্তব্যে বাংলাকে চূড়ান্ত অপমান করা হয়েছে’।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলার সব বুথ স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি জানিয়ে রাজ্যকে অপমানের ষড়যন্ত্রটা শুরু করেছিলেন বিজেপি নেতারা। অমিত শাহর এই মন্তব্যে বাঙালিকে অপমানের সেই বৃত্তটা সম্পূর্ণ হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।