উত্তরপ্রদেশে মনসদে যোগী আদিত্যনাথ তাঁর সাম্রাজ্য নিয়ে শাসন চালাচ্ছেন। কিন্তু রাজ্যবাসী কি খুশি তাঁর সাম্রাজ্যে? একের পর ঘটনায় নিজের রাজ্যে যোগী নিজেই অস্বস্তিতে পড়ে আছে। তার উপর এই রাজ্যেই সপা-বসপা জোট করে চিন্তায় ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। তার মধ্যেই যোগীর শাসন ব্যবস্থার কঙ্কালসার দশা উঠে এলো এক নারকীয় ধর্ষণের ঘটনায়। বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন উত্তর প্রদেশের এক তরুণী।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী। বয়স ২৬ থেকে ২৭ বছর। বিয়ের পর পরই স্বামী মারা যান। বিধবা হয়ে ফিরে এসেছিলেন বাপের বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও ঠাঁই হয়নি তাঁর। বাবা এবং পিসি মিলে তাকে মাত্র ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই ব্যক্তি এবং তাঁর বন্ধুরা তাঁকে ধর্ষণ করে। একাধিকবার পুলিসের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিস। তারপরেই নির্যাতিতা নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দেহের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁর। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সেই তরুণী।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে মহিলা কমিশনের তরফে। একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মেয়েটিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ঘুষ নিয়ে তাঁরা ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ যোগীর রাজ্যের পুলিশের এইরকম ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নতে জেরবার রাজ্যের গেরুয়া শিবির।