পূর্ণ হল ৮ বছর। সেদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন পথে, মানুষের মাঝে। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে এ বাংলায় ২০১১ সালের ১৩ মে মানুষের রায় পেয়েছিলেন তিনি। পর্যদুস্ত করেছিলেন এক ৩৪ বছরের ক্ষমতাশালী সরকারকে। আজও তিনি পথে এবং মানুষের মাঝে, সকলের ঘরের মেয়ে হয়ে।
সেদিনও মমতা বলেছিলেন, ‘এ জয় আমার নয়, এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয়।’ আর আজ সেই জয়ের ৮ বছর পূর্তির দিনেও মমতা রয়েছেন সেই মা-মাটি-মানুষেরই মাঝে। শুধু বদলে গিয়েছে প্রেক্ষাপট। সেদিন ছিল এই বঙ্গে ক্ষমতা দখলের পালা। আর আজ বাংলাকে সামনে রেখে দিল্লির মসনদ দখলের ডাক দিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলেও সেই দিনের কথা স্মরণ করে ‘মা-মাটি-মানুষকে’ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘আজ ঐতিহাসিক ১৩ মে। ২০১১ সালে এই দিনে দীর্ঘ ৩৪ বছরের অচলায়তনের অবসান ঘটিয়ে বাংলার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেন। গত আট বছর ধরে আমরা বাংলার মা, মাটি, মানুষের উন্নয়নে ব্রতী ছিলাম, এবং আগামীদিনেও রাজ্যের উন্নতির জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেব – এটাই আমাদের অঙ্গীকার’।
সোমবারের দুটি সভাতেও তৃণমূলনেত্রী দাবি করেছেন, শোষণ ছাড়া তাদের রাজত্বে বাংলায় কোনো কাজ করেনি সিপিএম। উল্টে তৃণমূলের গত আট বছরের শাসনকালে এরাজ্যে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তা অন্যান্য রাজ্যের কাছে শিক্ষনীয় বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যিই তো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই বাংলা হয়ে উঠেছে সম্প্রীতির বাংলা, সমৃদ্ধির বাংলা। কৃষকদের আয় বেড়েছে তিন গুণ। রাজ্যবাসীর জন্য তিনি এনেছেন বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা। এজন্য এনেছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। চুক্তি শ্রমিকেরা কাজ হারানোর ভয় থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আদিবাসীরা পেয়েছেন জমির অধিকার। স্বাধীনতার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই ছিটমহলের সমস্যার সমাধান হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাংলার মানুষ আজও মমতাতে মুগ্ধ। যে কোনও জনসভা, রোড শোতে শুধু মমতাকে একবার চোখের দেখা দেখতে, একবার ছুঁতে উপচে পড়ে ভিড়। স্লোগান ওঠে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’।