ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ শুরু হতে না হতেই ফের কাঠগড়ায় বিজেপি। সৌজন্যে তাদের ইভিএম কারচুপি। আগের পাঁচ দফায় ইভিএম বিকলের অভিযোগই উঠেছিল বেশি। কিন্তু আজ একেবারে কেলেঙ্কারি কান্ড! ইভিএম-এ যে বোতামই টেপা হোক না কেন, ভোট চলে যাচ্ছে বিজেপির দিকে! সাতসকালে এমনই অভিযোগ তুলে বিষ্ণুপুরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভোটাররা। শেষে, ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পরীক্ষা করে দেখেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের খণ্ডঘোষের হরিজন প্রাইমারি স্কুলের ২১০ নং বুথে। ভোট শুরুর আগে মক পোলের সময় সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ভোট শুরু হতেই দেখা গেল বিপত্তি। ভোটাররা ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখার সময় দেখতে পান, সব ভোটই পড়ে যাচ্ছে বিজেপিতে। এরপরই বুথে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন ভোটাররা। ভোটের লাইন ভেঙে তাঁরা প্রিসাইডিং অফিসারকে নতুন করে ভোট করানোর দাবি জানাতে থাকেন। তাঁরা বলেন, নতুন ইভিএম দিতে হবে এবং পুনরায় ভোটগ্রহণ করতে হবে। এই সমস্যা যখন ধরা পড়ে, ততক্ষণে প্রায় ৪৫ মিনিট ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে।
ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখে সেক্টর অফিসারকে খবর দেন প্রিসাইডিং অফিসার। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ইভিএম পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখছেন। দেখা গেছে, ভোটারদের অভিযোগই ঠিক। সব ভোটই যাচ্ছে পদ্মফুলে। ফলে, আবারও ধরা পড়ে গেল বিজেপির কারচুপি। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের বিরোধীরা বারবারই ইভিএম কারচুপি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ব্যালটে না ফিরে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে কমিশন। তাই ইভিএমে গলদের এই ঘটনায় যে মুখ পুড়ল কমিশনের এবং বিরোধীদের দাবিই আরও জোরালো হল, তা বলাই বাহুল্য।