একটা সময় ছিল যখন গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর আইপিএস ভারতী ঘোষের নামেই কাঁপত। কালক্রমে সেই দাপুটে পুলিশ অফিসার প্রাক্তন আইপিএস হয়ে এখন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী।
বিজেপি প্রার্থীকে সাধারণ মানুষ এখন আর ভয় পান না। বরং আজ ভোটের দিন তার বুথে গিয়ে ভিডিও তোলা আর কেশপুরে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে বিরক্ত সাধারণ মানুষ তাই তারা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নিচ্ছেন ভারতীকে। সকাল থেকে একের পর এক বিক্ষোভ শেষে পরিস্থিতি বেগতিক ঠেকায় কেশপুরের একটি মন্দিরে আশ্রয় নিতে হয় ভারতীকে। কিন্তু সেখানেই রেহাই নেই। মন্দির সংলগ্ন এলাকাতেও অশান্তি শুরু হলে কার্যত পালিয়ে গিয়ে কেশপুর থানায় আশ্রয় নেন ভারতী।
সব দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, আসলে ভারতী নিজেও বুঝতে পারেননি পুলিশ কর্তা থাকাকালীন যে ‘সম্মান’ ছিল, রাজনীতিতে এসে সেটা একই থাকা সম্ভব নয়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের কাছে ভারতী এখন নেহাতই প্রতিদ্বন্ধী। এরই মধ্যে ভারতীর গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
একদিকে ভারতীর যখন এমন দিশেহারা অবস্থা, তখন অনেক স্বচ্ছন্দে আছেন তৃণমূল প্রার্থী দেব। প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী। সেইসঙ্গে স্পষ্টতই জানিয়েছেন, ভারতী যা ব্যবহার করছেন, তা ঠিক নয়।