বাংলায় ষষ্ঠ দফার ভোট ১২ তারিখ। মোট আটটি কেন্দ্রের মধ্যে সেদিন ঝাড়গ্রামেও ভোটগ্রহণ হবে। আর ষষ্ঠ দফা ভোটের দু’দিন আগে শুক্রবার আদিবাসী কুর্মি সমাজ তৃণমূলকে সমর্থন করার কথা জানাল। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে একটি অতিথিশালায় ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী কুর্মি সমাজের নেতারা তাঁদের তিনদফা দাবির স্মারকলিপি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়ে লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করার কথা জানান। আদিবাসী কুর্মি সমাজের ঝাড়গ্রাম জেলার কার্যকরী সভাপতি সুজিতকুমার মাহাত বলেন, “ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার কুর্মি সমাজের ভোট রয়েছে। এই ভোট তৃণমূলের পক্ষেই যাবে। আমাদের সমাজ তৃণমূলকে সমর্থন করবে”।
পার্থবাবু বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে আদিবাসী কুর্মি সমাজের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও ঝাড়গ্রাম জেলার কুর্মি সমাজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে সরকার কতগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আদিবাসীদের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ জঙ্গলমহলে করেছেন, তা এককথায় ঐতিহাসিক”। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভারতী ঘোষ প্রসঙ্গে বলেন, “ওঁর এখনও উর্দির গন্ধটা যায়নি। মেজাজ দেখছেন তো! সৌভাগ্য এটাই যে, একে দেরিতে হলেও চেনা গিয়েছে। আর দুর্ভাগ্য, চিনতে দেরি হয়েছে”।
অন্যদিকে, এদিন রোদের তেজ উপেক্ষা করে শহরের কলেজ মোড় এলাকা থেকে তৃণমূলের র্যালি বের হয়। হুডখোলা জিপে ছিলেন দলের মহাসচিব, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রার্থী বীরবাহা সরেন টুডু প্রমুখ। তৃণমূল-কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ওই মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল প্রচুর। এদিন শহরের একটি অতিথিশালায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে একটি সভা করেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য।