প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের কাশী বিশ্বনাথ করিডর প্রকল্প। ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়েই বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভের ফুলকি।
গঙ্গায় ললিতা ঘাট-জলসেন ঘাট থেকে সরাসরি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। করিডরের মধ্যে নানা মন্দির। থাকবে সংগ্রহশালাও, তীর্থযাত্রীরা দেখবেন কাশীর সমাজ-সংস্কৃতির ইতিহাস। আর এখানেই তৈরি সমস্যা। সেই কাজটি করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ভাঙতে হয়েছে কয়েকশো বাড়ি। ঠিক কত, বলা মুশকিল। মহল্লা ঘুরে সংখ্যাটা দুশো থেকে চারশোর মধ্যে ঘোরাফেরা করল। আর, সেই ইট আর ধুলোর স্তূপ থেকে যারা উঁকি দিচ্ছে, তাদের নিয়েই সমস্যা। শুধু এখানেই থেমে নেই। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মন্দিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের বন্দোবস্ত নেই। সারমেয়কুল নাকি সেখানে নিশ্চিন্তে বাস করে। বাড়ি ভাঙার সময় মন্দির তো বটেই, ভাঙা পড়েছে নাকি বেশ কিছু দেববিগ্রহও।
মোদীজির দাবি, ভগবান শিব এ বার গেরস্থের গ্রাস থেকে মুক্তি পাবেন। বিরোধীরা এতেই খড়গহস্ত। কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাইয়ের দাবি, সবরমতীর মতো রিভারফ্রন্ট বানিয়ে বারাণসীর সংস্কৃতির সর্বনাশ করেছেন মোদী।
শুধু বিরোধীরা নয়। কাশী মন্দিরের পুরোহিতদের মধ্যেও ক্ষোভ কম নয়। পুরোহিতকুলের একাংশের দাবি, বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে লোকজনকে। লাহোরি টোলা থেকে উৎখাত লোকেদের দাবি, টাকা মিলেছে তবে বিস্তর শরিক থাকায় হাতে যা এসেছে, তা যৎসামান্য। উৎখাত হওয়া দোকানির দাবি, বৈধ কাগজ সত্ত্বেও সরকারি খাতা থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নাম।
সব মিলিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের করিডরের ফাঁকফোকরে আগুনের কণা। চুপ করে দেখছেন কাশীবাসী।