গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর পর্যন্ত ভারতীয় টেস্ট দলের উইকেটকিপার হিসেবে তাঁকেই ভাবা হত। অধিনায়ক বিরাটও বলেছিলেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু চোটের কারণে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। চলতি মরশুমের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। যেখানে বিরাট কোহালির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় ঋদ্ধিমান সাহার। ঋদ্ধিকে দেখেই ভারত অধিনায়ক জিজ্ঞাসা করেন, ফের কবে তাঁকে দেখা যাবে জাতীয় দলে!
ঋদ্ধি নিজেও জানেন বর্তমানে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন কতটা কঠিন। তবুও অধিনায়কের এই প্রশ্নে তিনি খুশি। শুক্রবার ইডেনে ঋদ্ধি বলেন, “দেখা হতেই কোহালি প্রশ্ন করল, আবার কবে ভারতীয় দলে তোমাকে দেখব। আমি বলে দিলাম, নির্বাচকেরা যা চাইবে তা-ই হবে”। পরিবর্ত ঋষভ পন্থ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি করে দলে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। এবিষয়ে ঋদ্ধি বলেন, “ঋষভ সুযোগ পেয়ে নিজের সেরাটা দিয়েছে। এতে খারাপ লাগার কিছু নেই। ওকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কখনওই দেখিনি। তবে আমিও চেষ্টা চালিয়ে যাব দলে ফেরার”।
আসন্ন মরশুমে বাংলার অধিনায়ক হিসেবে অনেকেই চান ঋদ্ধিকে। কিন্তু তিনি এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রস্তাব পাননি। এ বিষয়ে ঋদ্ধির মন্তব্য, “গত ছয় বছর প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু আমি গ্রহণ করিনি। এ বার এখনও প্রস্তাব পাইনি। প্রস্তাব পেলেও সিদ্ধান্ত বদলানোর কারণ দেখছি না। সামনে ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর রয়েছে। মে মাসের শেষে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলও ভারতে আসছে। দেখা যাক তাতে সুযোগ পাই কি না”। তবে যত যাই হোক, ভারতীয় দলে ঋদ্ধির প্রত্যাবর্তন কঠিন হলেও ঋষভ পন্থকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে চান না তিনি।
এ বারের আইপিএলে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। একটি ম্যাচে নেমেছেন সাত নম্বরে। বাকি ম্যাচে ওপেন করেছেন। জনি বেয়ারস্টো চলে যাওয়ার পরে তিনিই ছিলেন টম মুডির পছন্দের পরিবর্ত। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সে রকম সফল হননি। পাঁচ ম্যাচে তাঁর রান ৮৬। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরে ফিরেছেন। শুক্রবার সকালেই কালীঘাট ক্লাবের হয়ে ম্যাচ খেলতে নেমে পড়েছেন। তাঁর দল জিতলেও ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি ঋদ্ধি। কিন্তু এখনও ক্লাব ক্রিকেটের প্রতি সেই টান থেকে গিয়েছে। ঋদ্ধি বলছিলেন, “ক্লাব ক্রিকেট খেলেই উঠেছি। কী করে ময়দানের ক্রিকেট ভুলতে পারি”।