আবারও লক্ষ্যের কাছে এসে স্বপ্নভঙ্গ৷ কোনওদিনও ফাইনালে না উঠতে পারা দিল্লীর কাছে এবার দারুণ সুযোগ ছিল ফাইনালের লড়াই করার৷ কিন্তু তা আর হল কই? আবারও চেন্নাইয়ের কাছে লজ্জাজনক হার৷ তরুণ তুর্কীদের হারিয়ে দিল বাবারা৷ আগামীকাল ফাইনালে চেন্নাই-মুম্বই দ্বৈরথ৷
টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান ধোনি। ২০ ওভারে দিল্লি করল ৯ উইকেটে ১৪৭ রান। শুরু থেকেই উইকেট হারাল দিল্লি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পৃথ্বী শ চোখধাঁধানো ইনিংস খেলেছিলেন। এদিন তাঁর ব্যাট কথা বলল না। দীপক চহার ফেরালেন তাঁকে। তখনই ছন্দ নষ্ট হল।
প্লে-অফে তিন দিনের মধ্যে দুটো ম্যাচ খেলে দুটোতেই জেতা সব সময় কঠিন। সেই কঠিন কাজটা করতে গিয়েই শুরু থেকে চাপে ছিল দিল্লী ক্যাপিট্যালস। টপ অর্ডার ব্যাটিং ফেল করলে যে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই আইপিএলে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ১০ ওভারে যারা কম উইকেট খুইয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাই ম্যাচ বের করে নিয়েছে। এখানেও তাই হল।
সেখানেই সমস্যায় পড়ল দিল্লী। টস জিতে চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও টস হওয়ার পরে দিল্লী অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের দাবি ছিল, টস জিতলে ব্যাটই করতেন। আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লী ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি সুবিধে করতে পারেননি। পাওয়ার প্লে-র প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে ফিরে যান পৃথ্বী শ (৫) ও শিখর ধাওয়ান (১৮)। শিখরকে ফেরান হরভজন। তিনে নামা কলিন মুনরো খারাপ খেলছিলেন না। কিন্তু ২৪ বলে ২৭ করার পরে তাঁকে ফিরতে হয় জাডেজার বলে। চার নম্বরে নামা শ্রেয়স আয়ার ঠকে যান ইমরান তাহিরের গুগলিতে। তাঁর অবদান ১৮ বলে ১৩। তিনি উইকেটে থাকলে দিল্লি বড় রানের দিকে যেতে পারত। তা হয়নি, উল্টে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়েছে। কোনও জুটিই দানা বাঁধতে পারেনি, যেখান থেকে পাল্টা আক্রমণে বিপক্ষ শিবিরকে চাপে রাখার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা যেত।
১৪৭ রানের পুঁজি নিয়ে সিএসকে-কে থামাতে হলে শুরু থেকেই উইকেট ফেলতে হত। অভিজ্ঞ দু’ প্লেসি ও শন ওয়াটসন আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেন। দু’ প্লেসি ৩৯ বলে ৫০ করেন। ওয়াটসনও ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এই দুই ব্যাটসম্যানই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেন। সুরেশ রায়না (১১), ধোনি (৯) ব্যর্থ। বাকি কাজটা সারেন অম্বতি রায়ুডু (২০ অপরাজিত)। এক ওভার বাকি থাকতে ছ’ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই।
গোটা লিগে দিল্লী মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের ক্লান্ত লেগেছে। কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই, অন্যান্য বারের তুলনায় দিল্লীকে এ বার অনেক ব্যালান্সড দেখিয়েছে। রাবাডার দেশে ফিরে যাওয়াটা টিমের কাছে বড় ধাক্কা। তবে কোচ রিকি পন্টিং এবং অ্যাডভাইসর সৌরভ টিমটাকে অনেক বদলে দিয়েছেন। তবে শেষরক্ষা হল না।