বাম আমলের সময় কেবল শিলান্যাস হয়েছিল সামড়োঘাটে দ্বারকেশ্বর নদের উপর সেতুর। কাজ তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু, ইন্দাসের সঙ্গে কোতুলপুর ও মহকুমা শহর বিষ্ণুপুরের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওই সেতুর গুরুত্ব বুঝে তৃণমূল সরকারে আসার পর তা তড়িঘড়ি সম্পূর্ণ করেছে। আর এই সেতু তৈরি হওয়ায় ইন্দাসের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে ওই সেতু। কারণ, শিলান্যাসের পর দীর্ঘ ১০ বছরেও বামেরা ওই সেতু সম্পূর্ণ করতে পারেনি।
পার্শ্ববর্তী ফতেপুর খালেও একটি সেতু তৈরি করেছে তৃণমূল সরকারে আসার পর। বিষ্ণুপুর মহকুমার একাধিক ব্লকের সঙ্গে ইন্দাস সহ বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর এলাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। তাই বহু বছরের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় কৃষিপ্রধান এলাকার মানুষ কৃতজ্ঞ। এছাড়াও বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে ইন্দাসের আকুইয়ে মহিলা কলেজ, আইটিআই, রাস্তা তৈরি সহ বহু উন্নয়ন হয়েছে। তৃণমূল ওই উন্নয়নকে এবারের ভোটে ইস্যু করে ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এলাকায় প্রচার করেছে। তার প্রভাব এবারের ভোটে পড়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
আগে মহকুমা শহর বিষ্ণুপুর ৬০ কিলোমিটার এবং জেলা সদর বাঁকুড়ায় যেতে ৯০ কিলোমিটার ঘুরতে হতো। বর্তমানে সামড়োঘাটে দ্বারকেশ্বরের উপর সেতু হওয়ায় ব্লকের একাংশ থেকে সহজেই কোতুলপুর হয়ে বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়ায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া যেতে আগের চেয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে গিয়েছে। যা সাধারণ মানুষের কাছে বড় প্রাপ্তি। তৃণমূল ইন্দাস ব্লক সভাপতি শেখ রবিউল হোসেন বলেন, “ইন্দাসের সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সবসময় পাশে পেয়েছেন। তাই তাঁরা এই মুহূর্তে বিকল্প কোনও দলের কথা ভাববেন না। তাঁরা জানেন, কোনও বিশেষ শ্রেণী নয়, মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত মানুষের জন্য প্রকল্প তৈরি করেছেন। তার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন”। ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটে বলেন, “জেলা সদর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ইন্দাসে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এলাকায় জেলার দ্বিতীয় মহিলা কলেজ হয়েছে। সামড়োঘাটে ও ফতেপুরে নতুন সেতু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। একাধিক নতুন রাস্তা হয়েছে। ভোটে তা আমাদের বাড়তি সুবিধা দেবে, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না”।