লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই আবারও একবার শিরোনামে উঠে এল সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের নাম। এর আগেও একাধিকবার নানা বিতর্কে নাম জড়িয়েছেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ‘অভিনব ভারতের’ চার নিখোঁজ সদস্য ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সনাতন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে দেশের একাধিক প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দেয়। সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যা তদন্তের জন্য সংগঠিত কর্ণাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বেঙ্গালুরুর একটি আদালতকে জানিয়েছে এমনই তথ্য।
প্রসঙ্গত, মালগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন নিখোঁজ ব্যক্তি অভিনব ভারতের সদস্য রামজি কালসাংগারা এবং সন্দীপ দাঙ্গে। গৌরী লঙ্কেশ হত্যা মামলার তদন্তকারী দলের জমা দেওয়া নথি অনুযায়ী, হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সনাতন সংস্থার তিনজন সদস্য যাঁরা বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন তারা জানিয়েছেন, শিবিরে একজন ‘বাবাজী’ উপস্থিত থাকতেন। নভেম্বর ২০১৮ সালে ১১ বছর আত্মগোপন করে থাকার পর গুজরাতে গ্রেফতার হন সেই ‘বাবাজী’। জানা যায়, তাঁর নাম সুরেশ নায়ার। ২০০৭ সালের আজমের দরগা বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত এই নায়ার।
গৌরী লঙ্কেশ হত্যার তদন্ত চলাকালীন গ্রেফতার হওয়া তিন অভিযুক্তের কাছ থেকে মেলে ‘বাবাজী’-র বর্ণনা। তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে যে সনাতন সংস্থার সঙ্গে জড়িত দলটি ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সারা দেশে ১৯ টি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল। গৌরী লঙ্কেশ মামলায় সন্দেহভাজনদের বয়ান অনুযায়ী, ‘বাবাজীর’ মতন কিছু প্রশিক্ষক সাধু-সন্তের বেশে ঘুরতেন। জলনা-য় অনুষ্ঠিত আরেকটি শিবিরে দুই ট্রেনারকে “বাবাজী” এবং ‘গুরুজী’ বলে অভিহিত করেন আরেক সন্দেহভাজন।