বাংলার শিক্ষামন্ত্রী তথা ঝাড়্গ্রামের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন ঝাড়গ্রামের অভিভাবক। দলের কারও কাছে তিনি দাদা, কারও কাছে স্যার। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থকে ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব দিয়ে জঙ্গলমহলে পাঠান। তার পর থেকেই কার্যত তাঁর ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে ঝাড়গ্রাম। দলের ঝাড়গ্রামের প্রার্থী বিরবাহা সোরেন যেমন পার্থকে ‘স্যার’ বলেন, আবার দলের কোর কমিটির নেতা সুকুমার হাঁসদা, প্রসূন ষড়ঙ্গী, প্রাক্তন সাংসদ উমা সোরেন, উজ্জ্বল দত্তরা পার্থকে দাদা বলেন।
তৃণমূল জেলা কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, “পার্থদা আসার পর দলের মধ্যে যা সমস্যা ছিল সব মিটে গেছে। সাংগঠনিকভাবে দলকে অনেক মজবুত জায়গায় বসিয়ে দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর অনেক উন্নতি হয়েছে দলের সংগঠনের এবং কাজের। পার্থদা প্রতিনিয়ত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। লোকসভায় আমরা পার্থদার তৈরি করা মজবুত সংগঠনের ওপর দাঁড়িয়ে ভাল ফল করব”। তবে শুধু কথায় ঝাড়গ্রামের অভিভাবক নন পার্থবাবু। তাঁর ধ্যানজ্ঞ্যান এখন ঝাড়গ্রামকে ভালো রাখা। আর তাই কখনও দলের জেলা কোর কমিটির নেতাদের কলকাতার বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে মিটিং। কখনও আবার তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে ঝাড়গ্রাম ছুটে এসে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক। দলের নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া বহু কর্মীকে যেমন দলের কাজে শামিল করেছেন, গুরুত্ব না পাওয়া বহু কাজের মানুষকে খুঁজে দলের প্রয়োজনে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পদ দিয়েছেন।
ঝাড়গ্রামে পার্থ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিরোধী দল বিজেপি, সিপিএম–সহ বিভিন্ন দল থেকে বহু রাজনৈতিক কর্মী, পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্য দল থেকে আসা কর্মীরাও এখন মন খুলে পার্থকে তাঁদের অভাব–অভিযোগের কথা জানান। দলের মধ্যে তাঁদের গুরুত্বও দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর শুধু জেলা কোর কমিটির সদস্য নয়, ব্লক স্তরের বহু কর্মীর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।