বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, পিংলার মণ্ডলবাড় এলাকা যখন একেবারে শুনশান, সেই সময়ই আগাম খবর পেয়ে বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গীসাথীদের মোট চারটি গাড়ি থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। কোথা থেকে এই টাকা এল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেসব জানতে ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। উদ্ধার হওয়া সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্তও করেছে পুলিশ। আর এবার বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল কমিশন। অন্যদিকে, ভারতী ঘোষের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার রাতে পিংলায় নাকা চেকিং-এর সময় বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের মোট চারটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু’কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশি চালাতে না দিয়ে প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। পরে তাঁকে ধরে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। রাত ২টো নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় ঘাটালের পদ্মপ্রার্থীকে। অভিযোগ, বারবার সিজার লিস্টে সই করতে বলা হলেও, সই না করেই চলে যান ভারতী। এই ঘটনার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, ভারতী ঘোষের কাছে ২ কোটি টাকা ছিল। বিলির জন্যই এই বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর কাছে ছিল।
প্রসঙ্গত, একজন প্রার্থীর কাছে ৫০ হাজার পর্যন্ত নগদ সঙ্গে থাকা অনুমোদিত। আর তারকা প্রার্থী হলে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা সঙ্গে রাখতে পারেন তিনি। সেখানে ভারতী ঘোষের কাছে ২ কোটি টাকা ছিল বলে দাবি করেছে তৃণমূল। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ভারতী ঘোষের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি তুলেছে শাসকদল। আর বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। এবার নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহারের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক ও কড়া কমিশন। আগামী ১২ মে, রবিবার ঘাটালে ভোট। তার ঠিক দু’দিন আগেই সেখানকার বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক তরজা।