লোকসভা নির্বাচনে বাকি আর দুই দফা। সব দলের প্রচার তুঙ্গে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব প্রচারে এসে বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শিরোনাম দখল করছে। লাগাম ছাড়া কথা বলে চলছে অনবরত। কেউ বলছে বাইরে থেকে ছেলে এনে কুকুরের মত মারব তো কেউ আবার বাঁশ পেটার হুমকি দিচ্ছে। সেই তালিকায় নিজের নাম জুড়লেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু৷ জনগণ মুখ্যমন্ত্রীকে লাথি মারবে বলেই হুঁশিয়ারি তাঁর৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘পাগল’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি৷ যদিও বিজেপি প্রার্থীর ব্যক্তিগত আক্রমণকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না কেউই৷
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গোপালপুরের পপুলার অ্যাকাডেমির স্কুলমাঠে সভা করেন সায়ন্তন৷ মাঠ প্রায় ফাঁকা হলেও, চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি৷ জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তিনি৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘দিদি আপনি প্রধানমন্ত্রীকে চড় মারুন৷ আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না৷ বাংলার জনগণ আপনাকে লাথি মারার জন্য তৈরি হয়ে আছে৷ এমন লাথি পড়বে এখান থেকে আকাশে উঠবেন৷ ত্রিপুরা পেরিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে পড়বেন পদ্মার জলে৷ সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷’ এখানেই শেষ নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পাগল’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘ভোট যত আসছে, তত দিদি পাগল-পাগল আচরণ করছেন৷ ঘোরাঘুরি বেশি হচ্ছে৷ লাফালাফি বেশি হচ্ছে৷’
বিজেপি নেতৃত্ব মাঝে মাঝেই ব্যক্তি আক্রমণে নেমে আসছে। এর আগেও কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিপাকে পড়েছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার৷ নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷ এর আগে প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য সায়ন্তন বসুকে নোটিস দিয়েছিল কমিশন। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এফআইআরও দায়ের করে। কিন্তু তারপরও যে শিক্ষা হয়নি তা আজকের করা এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট।