প্রায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল ম্যাচটা। প্রথমে খলিল আহমেদ ও পরে রশিদ খান দিল্লি ক্যাপিটালসের শ্বাসরোধ প্রায় করে ফেলেছিলেন। এরকম অবস্থা থেকে দিল্লীকে ম্যাচে ফেরান ঋষভ পন্থ। বিশ্বকাপের টিমে ঋষভ পন্থকে না দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দিল্লী ক্যাপিট্যালস টিমের মেন্টর সৌরভ বুধবার ডাগ আউটে বসে দেখলেন, তাঁর ভাবনায় কোনও ভুল ছিল না। বিশাখাপত্তনমে ঝড় উঠল ঋষভের ব্যাটে। ২১ বলে ৪৯ রান করে গেলেন তিনি। যার জেরে শেষ ওভারে সানারইজার্স হায়দরাবাদকে দুই উইকেটে নাটকীয় ভাবে হারিয়ে আইপিএলের কোয়ালিফায়ার টু-তে পৌঁছে গেল দিল্লী। শুক্রবার সৌরভের দিল্লীর সামনে এ বার মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই। সেই ম্যাচ জিতলে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠবে দিল্লী।
এ দিন, টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লী ক্যাপিটালস। ঋদ্ধিমান সাহা ও মার্টিন গাপ্তিল ওপেন করতে নামেন। বাংলার ছেলে মাত্র ৮ রান করে ফেরেন। অন্য দিকে গাপ্তিল বড় রানের আশা জাগিয়েছিলেন সানরাইজার্স ভক্তদের মনে। ১৯ বলে ৩৬ রান করেন গাপ্তিল। চারটে বিশাল ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু, অমিত মিশ্র মোক্ষম সময়ে আউট করেন গাপ্তিলকে।
রান তোলার গতি তখনই কমে যায়। মণীষ পাণ্ডে (৩০), কেন উইলিয়ামসন (২৮) রানের গতি বাড়াতে পারেননি। চলতি আইপিএলে বিজয় শঙ্কর নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এ দিন তিনি দ্রুত ১১ বলে ২৫ করেন। পরের দিকে মহম্মদ নবি ১৩ বলে ২০ রান করায় সানরাইজার্স করে ৮ উইকেটে ১৬২। শেষ ওভারে দু’টি উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। সানরাইজার্সের রান তাড়া করতে নেমে পৃথ্বী শ অনবদ্য খেলেন। ৩৮ বলে ৫৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। পৃথ্বী শ-র জন্যই মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ম্যাচটা বের করে নেবে দিল্লি। কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায় খলিল আহমেদ ও রশিদ খান দিল্লির ইনিংসে আঘাত হানায়। পন্থ এসে পাল্টা মার দেওয়া শুরু করেন। তখনই দিল্লির উপর থেকে কমে যায় চাপ। শেষ ওভারে পরিস্থিতি কঠিন করে ফেলেছিল দিল্লি। ভাগ্যদেবী দিল্লি ক্যাপিটালসের সহায় হওয়ায় ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং কখনই জমাট বাঁধেনি। বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। তবে কেন উইলিয়ানসন, বিজয় শঙ্কর , মহম্মদ নবিরা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও দ্রত গতিতে রান করার চেষ্টা করেন। উইলিয়ামসন ২৭ বলে ২৮ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হন। বিজয় শঙ্করের সংগ্রহ ১১ বলে ২৫ রাম। দু’টি চার ও দু’টি ছক্কাও রয়েছে তাঁর ইনিংসে। ভালো ব্যাট করেন নবি। ১৩ বলে তিনি ২০ রান করেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে কেমো পল ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। তার মধ্যে দু’টি উইকেটই তিনি পেয়েছেন অন্তিম ওভারে। ইশান্ত শর্মার ঝুলিতে গিয়েছে ২টি উইকেট।