এই প্রবল গরমের মধ্যেও টানা আড়াই ঘণ্টার রোড শো-র পর বাড়ি ফিরে নিজের বাড়ি সংলগ্ন অফিস রুমে বসে এলাকার মানুষের কথা শোনেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কাকলি যেখানে বসেন, ঠিক তার উপরে তৃণমূল নেত্রীর ছবি। সেটি দেখিয়ে কাকলি বলেন, “আর জি করে পড়ার সময় থেকেই দিদির সঙ্গে আলাপ। তখন আমি-দিদি দু’জনেই ছাত্র পরিষদ করতাম। দিদি খুব ভালো স্লোগান দিতেন। বাবা অজিত মৈত্র ছিলেন জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান। ওই সময় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন জ্যাঠামশাই অরুণ মৈত্র। জ্যাঠামশাই একদিন বললেন, কালীঘাটে মমতা বলে একটা মেয়ে আছে। খুব ভালো স্লোগান দেয়। ওকে মিছিলে আনিস তো। জেঠুর নির্দেশমতো কালীঘাটে গিয়েছিলাম, মমতাদিও এসেছিল। সেটা ১৯৭৬ সাল”। কাকলি জানান, “বহুবার বহু ব্যর্থতার পরও দাঁড়িয়ে থেকেছি, বহু পরাজয় এসেছে। তবু মাঠ ছাড়িনি”।
তিনি নিজে বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তবে সাংসদ হওয়ার পরে সপ্তাহে মাত্র একদিন সময় দিতে পারেন ক্লিনিকে। মাদার টেরেসার সঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করা কাকলি বলছেন, ‘মাদার বলতেন, মানবসেবাই বড়। সাংসদ বা চিকিৎসক, দুটোই তো মানবসেবা’। প্রথম জয় বারসত থেকে ২০০৯-এ। এর পর টানা দশ বছর সাংসদ। ফের একই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। সাংসদের দাবি, ‘শুধু সময়ের অপেক্ষা’। এরই মাঝে চিকিৎসক প্রার্থী তুলে ধরলেন উন্নয়নের খতিয়ান। বললেন, ‘বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নার্সিং ট্রেনিং কলেজ। বারাসত স্টেশনকে মডেল স্টেশন। ১২ নম্বর গেটে আন্ডারপাস। মহিলাদের নিরাপত্তা। মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় সাবওয়ে। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।’
কাকলির মধ্যমগ্রামের বাড়িতে গোরু, হাঁস, মুরগি রয়েছে। কয়েক বিঘের বাগানে ফুল, সব্জি চাষ হয়। কাকলি বলেন, ‘বাগান পরিচর্যা আমিই করি। সময় পেলে মায়ের কাছে শেখা খাসির মাংস আর সর্ষে ইলিশ রেঁধে খাওয়াই স্বামী-সন্তানদের।’ রাজনীতির ব্যস্ততা সত্ত্বেও বন্ধ্যাত্বের উপরে গবেষণাপত্র লেখেন। লিখেছেন বেশ কয়েকটি বইও।