লোকসভা ভোটে বারাণসী থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন বিদ্রোহী জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব। কিন্তু সেই মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশনের ঘোষণা পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তেজবাহাদুর। আর এবার এই বিএসএফ জওয়ানের আবেদন আগামী ৯ মে’র মধ্যে কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাউন্সেলকে এ ব্যাপারে বিশদে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৯ মে’-র মধ্যে যাদবের রোষের কারণগুলি কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বলল শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, বিএসএফ জওয়ানদের অত্যন্ত নিম্নমানের এবং সামান্য পরিমাণ খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তেজ বাহাদুর। সেই খাবারের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রের সরকার কম বা নিম্নমানের খাবার দেয় না। সেনা অফিসাররা সেই খাবার বিক্রি করে দেন বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তেজ বাহাদুর। ২০১৯ সালে তাঁকে কোর্ট মার্শাল করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল বিএসএফ। সেই বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব এবার লোকসভা ভোটে বারাণসী থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এর পরই এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তেজ বাহাদুর। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। মনোনয়ন বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন যে মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা ১৫ মধ্যে তাঁকে নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয়। আর সেই মতোই নথিপত্র জমাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি অবাক হন। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন জওয়ান। তেজবাহাদুরের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন, তেজবাহাদুরের মনোনয়ন দাখিল বেআইনি ছিল না। যাদব তাঁর আবেদনে জানান, নির্বাচন কমিশনের আচরণ বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক। সে কথা শুনেই এবার কমিশনের কাউন্সেলকে এ ব্যাপারে বিশদে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।