এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল খোদ ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর’ পাকিস্তান। লাহোরে দ্বাদশ শতাব্দীর দাতা দরবার দরগার বাইরে মহিলাদের জন্য নির্ধারিত প্রবেশদ্বারের কাছে বিস্ফোরণটি হয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে বারবারই জঙ্গীদের আক্রমণের নিশানায় থেকেছে সুফি দরগা। আর এবার রোজার মাস শুরু হতে ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোরের পাঞ্জাব প্রদেশের অতি প্রাচীন এই দাতা দরবার দরগা। বুধবার সকালে দরগার মূল প্রবেশ দ্বারের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের তথ্য অনুযায়ী, আট জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম অন্তত ১৫। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
লাহোরের একটি টিভি চ্যানেল সূত্রে খবর, দরগার যে অংশের প্রবেশ দ্বার মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত, হামলা চালানো হয় সেখানেই। পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র নায়াব হায়দারের কথায়, দরগার বাইরেই পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। নিশানা করা হয়েছিল সেটিকেই। ঘটনায় পুলিশ অফিসার-সহ চার জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও অনেক। আর লাহোর পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক গাজানফার আলি বলেছেন, ‘বিস্ফোরণের সময় দরগার ভিতরে শতাধিক মানুষ ছিলেন। দরগার বাইরে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদেরই মূলত টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে তার তদন্ত চলছে।’
একই মত পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ কাশিফেরও। তাঁর কথায়, ‘প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে এটা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ছিল। তবে তদন্ত চলছে। বিস্ফোরণ স্থল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি পঞ্জাব প্রদেশের এই দাতা দরবার দর্গা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দরগাগুলির মধ্যে একটি। রমজান মাসে প্রায় প্রতিদিনই শতাধিক মানুষের ভিড় হয় এই দরগায়। এর আগে, ২০১০ সালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে এই দরগাকে টার্গেট করা হয়েছিল। সে বার মৃত্যু হয় ৪০ জনের। তার পর থেকেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকে এই ধর্মীয় স্থান। কিন্তু তাতেও আটকানো গেল না আজকের বিস্ফোরণ।