বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিল তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে চিত্র কিছুটা আলাদা। দিলীপের গাড়ির অনেক আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলের গাড়ি ভাঙচূর করা হয়েছিল৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক এবং নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারি। ওই জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি প্ররোচণা দিয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ খেজুরির কুঞ্জপুরে ঘটনার সূত্রপাত৷ বিজেপিই পায়ে-পা দিয়ে ঝামেলা বাধিয়েছে৷
খেজুরিয়ার বিধায়ক রনজিৎ মন্ডলের কথায়, ‘কুঞ্জপুরে কর্মীসভা ছিল৷ রাস্তার ধারে আমার ব্যক্তিগত গাড়ি রাখা ছিল৷ বিধায়কের স্টিকার লাগানো গাড়ি৷ এরপর কিছু ছেলে এসে বলল বিজেপির মিটিং রয়েছে৷ আমরা কোনও কিছুতেই আটকাইনি৷ ওরা মন্দিরে পুজো দিচ্ছে বা ঘন্টা নিয়ে নাচানাচি করছে, সেটা ওদের ব্যাপার৷ শুনেছিলাম ওদের টাইম ছ’টা পর্যন্ত ছিল৷ তখন বাজে ৬টা ২০৷ ইতিমধ্যেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে গিয়েছে৷’ তিনি আরও জানান, ‘এরমধ্যেই দেখছি কিছু লোক লাঠি, খোলা তলোয়ার হাতে জয়শ্র রাম বলে চিৎকার করছে৷ পুলিসের সামনেই রাস্তার ধারে আমার গাড়ির কাঁচ কেন ভাঙলো ওরা? দিলীপ ঘোষ জবাব দিতে পারবেন? থানার ওসি থেকে মাইক্রো অবজারভার, সকলে ওই ঘটনাটা দেখেছে৷ থখন আমার লোকেরাও ওদের সঙগ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে৷ ওসি ওদের থামানোর চেষ্টা করছিল৷ অতিমধ্যেই বিজেপির লোকেরা রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করে দেয়৷ কেউ কেউ রাস্তায় শুনে পড়ে৷ বলতে থাকে দিলীপ ঘোষ না আসা পর্যন্ত কেউ উঠব না৷’
রনজিতের অভিযোগ, পুলিশ যখন অবরেধ তোলার চেষ্টা করছে তখন তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে কেউ পিছন থেকে লাথি মারে৷ তার গাড়ির উপর ফের আক্রমণ করা হয়। আরও অভিযোগ যে ২৩ মে-এর পর তফশীলী অধ্যুষিত এই এলাকাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।