এবার তৃণমূল কর্মীদের ন্যাংটো করে পেটানোর নিদান দিলেন সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে কমরেড সেলিম বলেন, ‘পুলিশের মদত না পেলে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের ন্যাংটো করে পেটাতাম। সুযোগ পেলেই ওদের সর্বত্র পেটান’।
বোঝা যাচ্ছে কমিউনিস্ট সেলিম ইদানীং পুলিশকে বেজায় ভয় পাচ্ছেন। তাই কমরেড ডাক দিয়েছেন, পুলিশকে লুকিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ন্যাংটো করে পেটান।
কিন্তু হঠাৎ কী এমন হল, যাতে পুলিশকে এড়িয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পেটানোর ডাক দিচ্ছেন সেলিম? নাড়ি টিপে রোগটা ধরে ফেলেছেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘মাথাটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে। এসবই তার প্রাথমিক লক্ষণ। ২৩ মে-র পর সিপিএম দলটাই উঠে যাবে। ওকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না’।
কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের ওপর এত ক্ষেপে গেলেন কেন সেলিম? রহস্যভেদ করেছেন স্থানীয় সিপিএম কর্মীরাই। নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লক ঘুরে রোড শো করার কথা ছিল সেলিম ও তাঁর কমরেডদের। বাইরে থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল বেশ কয়েকটি মিনি ট্রাক, ভ্যান রিকশা, টোটো। ঘটা করে তাতে লাগানো হয়েছিল লাল বেলুনও। মাইক লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল স্লোগান। কিন্তু লোক কই! রোড-শো করতে নিদেনপক্ষে কয়েকশ লোক লাগে। কিন্তু সেলিমের রোড-শোতে জনা পনেরো লোকও জড়ো হয়নি। হাজার চিৎকার, স্লোগানেও যখন জনা পঞ্চাশ লোকও জড়ো করা গেল না তখন সেলিমবাবু রেগে কাই। মেজাজ হারিয়ে দলীয় কর্মীদের একপ্রস্থ বকাঝকা করেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের সাফ কথা, নন্দীগ্রামে ফের অশান্তি পাকাতে এলে ফল ভুগতে হবে।
তবে সিপিএম-এর দলীয় কর্মীরা বলছেন, সেলিমের অবস্থা এখন নিধিরাম সর্দারের মতো। উনি এখনও বারো বছর আগে পড়ে রয়েছেন। লাগাতার হারের জ্বালায় সময়জ্ঞানের সঙ্গে কাণ্ডজ্ঞানও হারিয়েছেন। এখন ওনার বিশ্রাম দরকার। অবশ্য ২৩ মে-র পর গোটা সিপিএম দলটাই বিশ্রামে যাবে।