সম্পন্ন হল পঞ্চম দফার ভোট। আর বাকি মাত্র দু’দফার ভোট। গতকাল সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গাতে বিজেপি সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করার চেষ্টায় থাকলেও তা ব্যর্থ হয়েছে পুরোপুরি ভাবে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তৃণমূল নাকি ১০টার বেশি আসন পাবে না। এই অবান্তর কথার প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
চেতলায় নিজের দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠকও করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘২৩ মে ফল প্রকাশের দিন নরেন্দ্র মোদী মুখ লুকোনোর জায়গা পাবেন না।’তিনি আরও জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের মন্তব্য করেন সেই ধরনের মন্তব্য পথসভাতেও তৃণমূলের কর্মীরা করেন না। গুজরাটে দাঙ্গা করে এসেছেন। বাংলার সংস্কৃতি জানেন না। নেতাই, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম সম্পর্কে মোদীর কোনও ধারণা নেই। তিনি শুধু মুখ দেখিয়ে মিথ্যে কথা বলে নির্বাচনে জিততে চাইছেন। বাংলার জন্য তিনি কিছু করেননি। রাজ্যের মানুষ তাঁকে ভয় পায় না। এবারও মানুষ মমতাকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করবেন।’
গতকাল ফিরহাদ মহেশতলায় প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে র্যালি করেন। তিনি বলেন, ‘অর্জুন সিং গুন্ডামি করতে নেমে পড়ে। লকেট চট্টোপাধ্যায় ইভিএম ভাঙল। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা হল। তিনি একজন খেলোয়াড়। আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই এই সমস্ত গুন্ডামি আমরা করি না”।
নরেন্দ্র মোদীর এই ধরনের আকাশকুসুম ভাবনার মন্তব্যের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। গতকাল দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে যান প্রচার করতে। তাঁর বক্তব্য, ‘আকাশকুসুম স্বপ্ন। বাংলা থেকে বিজেপি শূন্য পাবে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করা যায় না৷ ভোট পেতে গেলে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়৷’
পাঁচ দফার ভোটে যে ইতিমধ্যেই পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি তা বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষের হাওয়াই৷ মানুষ যেভাবে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের ওপর তাতে আগামী ২৩, বিজেপি ফিনিশ অবশ্যম্ভাবী৷