লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কিন্তু তাতে কি। নেতা-নেত্রীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বন্ধ নেই। একে অপরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত কেউ নেই। কারণ এখনও যে আরও দু দফা বাকি। এই আবহে বিজেপি নেতা কেএস ইশ্বরাপ্পার সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ালেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া৷ নববালিক ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য করা নিয়ে গোল বাঁধে তাঁদের মধ্যে। বিজেপি নেতাদের পাগল বলে মন্তব্য করেন৷ জানান যে চৌকিদার নয়, ওরা নিজেদের পাগল বললে ভালো হয়৷ সিদ্দারামাইয়া দাবি যে বিজেপি নেতারা বুঝে গিয়েছেন তারা ভোটে হারবে৷ হতাশগ্রস্ত হয়ে পড়েছে৷ আর সেই হারের ছাপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে ইশ্বরাপ্পার চোখে মুখে ধরা পড়ছে৷
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কেএস ইশ্বরাপ্পা সিদ্দারামাইমার সঙ্গে নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে তাঁদের কথোপকথন কিছু অংশ তুলে ধরেন৷ তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দারামাইয়া৷ আর ইশ্বরাপ্পা ছিলেন বিধান পরিষদের বিরোধী নেতা৷ সেই সময় ছ’বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার খবরে উত্তাল কর্ণাটক৷ ইশ্বরাপ্পা বলেছিলেন, ‘যে কোনও ধর্ষণের ঘটনা বেদনাদায়ক৷ ছ’বছরের যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় সে তো আমার নাতনির মতো৷ খবরটা পড়ে খুব মর্মাহত হই৷ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম৷ জানতে চেয়েছিলাম কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে? তিনি বলেছিলেন, কী আর করা যাবে? তাঁর উত্তর অবাক করে ইশ্বরাপ্পাকে৷ প্রশ্ন তোলেন, সিদ্দারামাইয়ার নাতনির সঙ্গে এমন ঘটলে তিনি কি এই জবাবই দিতেন?’ শেষের এই প্রশ্নটি কংগ্রেস নেতাদের ক্ষুদ্ধ করে তোলে৷ সিদ্দারামাইয়া বিজেপি নেতাকে পাগল বলে অভিহিত করেন৷ কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও ইশ্বরাপ্পার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অতীতেও বিতর্কিত মন্তব্যে করে ‘বদনাম’ কুড়ান ইশ্বরাপ্পা৷ আবার সেই বিতর্কে জড়ালেন তিনি। এই বাকযুদ্ধে অস্বস্তিতে পড়ে গেছেন গেরুয়া শিবির।