কাশ্মীরে ভোটে অশান্তি এড়াতে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু এসব সত্ত্বেও এড়ানো গেল না অশান্তি। ফের বিস্ফোরণ ঘটল পুলওয়ামার একটি বুথের সামনে। মনে করা হচ্ছে এই হামলার পিছনে বিজেপির হাত আছে। এবারের লোকসভা ভোটে কাশ্মীরে এটাই প্রথম বিস্ফোরণ। শান্তি বজায় রাখার ধার ধারে না বিজেপি বাংলায় তার হাজার একটা প্রত্যক্ষ প্রমাণ আছে। কিন্তু কাশ্মীরেও ভোটের দিন সকালে পুলওয়ামার রোহমুরে একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও, ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের লাইন না থাকায় প্রাণহানি হয়নি। তবে, এলাকার ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
অনন্তনাগ কেন্দ্র নিয়ে আগে থেকেই চিন্তায় ছিল কমিশন। কাশ্মীর তথা ভারতের সবচেয়ে গণতন্ত্র বিমুখ কাশ্মীরের এই অনন্তনাগ কেন্দ্রটি। শুরু থেকেই ভোটবিমুখ ভোটাররা। সেই সঙ্গে রয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের ভোট বয়কটের হুমকি। এসবের কথা মাথায় রেখে নজিরবিহীনভাবে একটি মাত্র কেন্দ্রের ভোট করানো হচ্ছে একাধিক দফায়।
অনন্তনাগ কেন্দ্রে এবার প্রেস্টিজ ব্যাটেল পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতির। তিনি নিজেই এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। বিপক্ষে রয়েছেন কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর। তিন পর্যায়ে ভোট হচ্ছে এই কেন্দ্রে। এদিকে অনন্তনাগের পাশাপাশি ভোট হচ্ছে লাদাখেও। সেখানেও ভোটদানের হার খুব একটা সন্তোষজনক নয়। এখনও পর্যন্ত লাদাখে সাড়ে ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আজ অনন্তনাগের সবচেয়ে উত্তেজনাপ্রবণ দুটি এলাকা পুলওয়ামা এবং সোপিয়ানে ভোট হচ্ছে। এমনিতে সারাবছরই এলাকাদুটি উত্তেজিত থাকে। ভোটের আগেও স্থানীয়দের হুমকি দিয়ে রেখেছে সন্ত্রাসবাদীরা। তাই এই এলাকায় ভোটের হার একেবারেই নগণ্য। এখনও পর্যন্ত পুলওয়ামায় এক শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। আর সোপিয়ানে ভোট পড়েছে দেড় শতাংশের আশেপাশে। বিজেপির এই বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ্যে আসায় ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের উৎসাহ আরও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।