জরুরি অবতরণের সময় আগুন ধরে গেল যাত্রীবাহী বিমানে। উত্তর রাশিয়ার শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দরে কয়েক মুহূর্তেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৪১ যাত্রীর। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই চিত্রে ফুটে উঠেছে বিমানের পিছনের প্রায় অর্ধেক অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা চত্বর। তার মধ্যেই বিমানের জুরুরি দরজা দিয়ে স্কিড করে একের পর এক যাত্রী নেমে আসছেন নীচে।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যা ছ’টা ৩ মিনিটে মস্কোর শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার উত্তর পশ্চিমের শহর মুরমানস্ক শহরের উদ্দেশে উড়ে যায় সুখোই সুপারজেট-১০০ বিমানটি। বিমান পরিষেবা সংস্থা এরোফ্লটের উড়ানটিতে যাত্রী ও কেবিন ক্রু মিলিয়ে ছিলে্ন ৭৮ জন। ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই জরুরি অবতরণের জন্য বার্তা পাঠান পাইলট। বিমানবন্দর থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে রানওয়েতে প্রায় আড়াআড়ি ভাবে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। ওড়ার আট মিনিট পরই রানওয়েতে নামে বিমানটি। কিন্তু ততক্ষণে পিছনের অংশে আগুন ধরে গিয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র আতঙ্ক, কান্নাকাটি।
সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে এসে দমকল। ভিতরে দগ্ধ এবং দমবন্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা। আহতদের প্রথমে বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে কী কারণে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান যে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য বিমানটি ফিরে আসে কিন্তু অবতরণের সময়ে সেটিতে আগুন লেগে যায়। অবতরণের পর সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে। বিমানের জ্বালানী ট্যাঙ্ক ভর্তি ছিল। ফলে আগুনের দাপট অনেকচাই বেড়ে যায়। আবার অন্যদিকে তদন্তকারী অফিসারদের একটি সূত্রে খবর, রেডিয়ো সিগন্যালে সমস্যা দেখা দিতেই জরুরি অবতরণের বার্তা পাঠাতে হয় পাইলটকে।