আজ পঞ্চম দফার ভোট চলাকালীন ‘গুন্ডাগার্দি’তে তাঁর দলের বাকি নেতা-মন্ত্রীদের ছাপিয়ে গেছেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তারই ফল মিলল এবার। বুথে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় এবার লকেটের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এদিন হুগলির বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে যে, ধনেখালির তাঁর উপস্থিতিতেই দলীয় কর্মীরা মইদিপুরে ১৫৯ নম্বর বুথের ইভিএম ভেঙে ফেলে।
প্রসঙ্গত, সোমবার হুগলির তিন কেন্দ্র শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগে ভোট হচ্ছে। এদিন সকালেই এক বুথের ভেতর ঢুকে তৃণমূল এজেন্টকে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এখান থেকে বেরোও। চামড়া গুটিয়ে নেব।’ রীতিমতো চোটপাট শুরু করেন গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে। সবাইকে জয় শ্রীরাম বলতে জোর করেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুথের ভেতরে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারকে হুমকি দিয়ে বিতর্ক বাড়ান লকেট।
জানা যায়, বুথের ভেতরে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রথমে হুমকি দেন তিনি। তারপর বুথের বাইরে প্রিসাইডিং অফিসারকে ডেকে আনেন তিনি। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে রীতিমতো হুমকি দেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটে ধনেখালির দেধারায় ৯৪ নম্বর বুথে। তবে এখানেই শেষ নয়। তাঁর ইন্ধনে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ইভিএম মেশিন তুলে ফেলে দেয় বিজেপি কর্মীরা।
এর ফলে নষ্ট হয়ে যায় ওই ভোটকেন্দ্রের ভিভিপ্যাট মেশিন। এবং যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। ঘটনাটি ঘটে ধনেখালির মইদিপুরে ১৫৯ নম্বর বুথে। ঘটনার পরপরই অবশ্য স্থানীয় ভোটারদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন লকেট। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন এলাকাবাসী। আর এবার সেই ঘটনার জন্যই লকেটের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দিল কমিশন।