নির্বাচনের ময়দানে বরাবরই হিট অনুব্রত মণ্ডলের গ্রাম্য ভাষা৷ প্রথমে বিরোধীদের গুড়-বাতাসা খাওয়ানো, তারপর ভোটের দিন পাচন, নকুলদানা, আদর ও সোহাগ ব্যবহারের নির্দেশ দেন৷ তবে সেটা ছিল বীরভূমের পরিচিত জমি৷ কিন্তু সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের দায়িত্বও প্রিয় ‘কেষ্ট’র কাঁধে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই জমিতে তিনি অন্য ওষুধ ব্যবহার করবেন বলেই জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি৷ তিনি বলেছেন, “ভোটের আগে জমিতে বিষ ছড়িয়ে দেব৷ কীটপতঙ্গ আসতে পারবে না”।
বীরভূমে নির্বাচনের আগে ঠিক যেভাবে মেঠো ভাষায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে ওই জেলার তৃণমূল সভাপতিকে৷ বিষ্ণুপুরের দায়িত্বে এসেও সেই একই মেজাজে রয়েছেন তিনি৷ বিরোধীদের পাত্তা দিতে নারাজ তিনি৷ বরং বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া লোকসভা আসন দুটিতেই বড় মার্জিনে জয়ের বিষয়ে ভীষণ ভাবে আত্মবিশ্বাসী৷
অনুব্রত বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মাটি আলাদা৷ এখানকার মাটি শক্ত৷ এখানে ঠিকঠাক চাষ হলে ব্যাপক ফসল হয়৷ এখানে চাষ করে নিতে হয়৷ আমাদের জন্য এখানকার মাটি তৈরিই রয়েছে৷ এখানকার ব্লক প্রেসিডেন্ট, ছাত্র-যুব, পঞ্চায়েত সমিটি, জেলা পরিষদের মেম্বার সবাই মাটি তৈরি করেই রেখেছেন৷ এখানার সবাই ভাল করে মাটি করে রেখেছেন৷ আমি শুধু বিষ ছড়িয়ে দেব৷ তাহলে আর কীটপতঙ্গ আসবে না৷ ভাল ভোট হবে৷’’
অনুব্রত যখন একথা বলছেন, তখন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন টলি অভিনেতা হিরণ৷ উনি জানান, ‘‘আমি ২০০০ থেকে তৃণমূল করছি৷ মমতাদির সঙ্গে আছি৷ বাংলার যে উন্নয়ন থেমে গিয়েছিল, মমতাদির জন্য তা শুরু হয়েছে৷ একই ভাবে আমার মনে হয়, দেশেরও যে উন্নয়ন থেমে গিয়েছে, মমতা দি প্রধানমন্ত্রী হলে তা শুরু হবে৷’’
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি আরও জানান, ‘‘আমরা নদিয়ার দুটো সিট জিতব৷ বীরভূমে তো মার্জিন বাড়ানোর লক্ষ্যে লড়েছিলাম৷ আমি নিশ্চিত বিষ্ণুপুরে আমাদের প্রার্থী ২ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবে৷ আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় পুরনো খেলোয়াড়৷ বাঁকুড়ায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও মার্জিন বাড়বে৷ আমরা ৪২-এ বিয়াল্লিশ পাব’’।