চৌকিদার আঞ্চলিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ন্যস্ত থাকে৷ এদের নাম শুনলেই এতদিন অবধি ঢোলা পুলিশ বা সেনার কাছাকাছি দেখতে পোশাক পরে, কনস্টেবলের মতো টুপি, হাতে লাঠি আর পকেটে হুইসিল মারছে কেউ ভাবতাম। ঠক ঠক করে ‘জাগতে রাহো’ বা বাঁশির তীক্ষ্ণ আওয়াজ মানেই ‘অল ইজ ওয়েল’।
এবার ধরুন এই চৌকিদার আর হুইসিল বাজাচ্ছে না। ধুপধাপ চৌকিদারদের মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে আর বাকিরা স্তব্ধ হয়ে গেছে।
আমাদের দেশে ও ঠিক একই অবস্থা এখন। whistleblower মানে এমন একজন ব্যক্তি যিনি সরকারি দুর্নীতি, ঘুষখোর অফিসার, কোটি টাকার নয়ছয় করা ফাঁস করে দেন। কোন দপ্তরে বেআইনী বা অবৈধ কার্যকলাপ ঘটছে তা প্রকাশ করেন।
২০১৪ থেকে ৪০জনের ওপর whistleblower কে মেরে ফেলা হয়েছে এ দেশে। যারা সত্যি চৌকিদারদের মতো বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করতে গেছিল দেশের সম্পদ লুঠের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আরো এক ডজন মারা যায় আচমকা দুর্ঘটনায়। ব্যাপম দুর্নীতি মনে আছে? ধুপধাপ এক একজন সাক্ষী মারা যেতে শুরু করলো। আমরা ভাবলাম তুচ্ছ ঘটনা।
Whistleblowers Protection Act পাশ হয়েছিল এই মানুষগুলোকে বাঁচাতে। উল্টোটা হচ্ছে পাঁচ বছর ধরে। আমরা অবশ্য Act বলতে Act Against Muslim & Pakistan ই বুঝছি। এগুলো খরচার খাতায় অনেক পিছনে।
ভোট দিতে যাওয়ার আগে আসল চৌকিদারদের এই মৃত্যু মিছিলের কথা মাথায় রাখবেন।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত