লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ চলছে দেশজুড়ে। তাঁর মধ্যেই রাজ্যের হুগলির একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গেল। ভোট দেওয়ার পর আঙুলে কালি লাগানোই নিয়ম। কিন্ত সেই নিয়মই পালন করলেন না এক প্রিসাইডিং অফিসার। মায়ের হয়ে ভোট দিয়ে দিলেন ছেলে৷ শুধু একসঙ্গে পরপর দু’টি ভোট দেওয়াই নয়৷ কারচুপি করা ওই ভোটারের আঙুলে কালি লাগানো হয়নি বলেও অভিযোগ৷
প্রসঙ্গত, হুগলির বলাগড়ের শেরপুর সুবর্ণপ্রভা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যদিও সকাল থেকে বেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল ভোটগ্রহণ৷ কিন্তু আচমকাই দেখা যায়, মণীন্দ্র সেন নামে একজন ভোটার তাঁর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকেন৷ অভিযোগ, মা রেণুকা সেনের হয়ে ভোটও তিনি নিজেই দিয়ে দেন৷ তাতে বাধা দেননি নির্বাচনী আধিকারিকরা৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পর দেখা যায়, মণীন্দ্র সেনের দু’টি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে টিপ ছাপ দেওয়ার জন্য নীল কালি লাগানো হয়েছে৷ তবে ভোট দিয়ে যে তিনি বেরোলেন সে কারণে আঙুলে কোনও কালি দেওয়া হয়নি৷ কেন আঙুলে কালি লাগানো ছাড়াই ভোট দিলেন মণীন্দ্র? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে যদিও এতটুকুও বিব্রত হলেন না ওই ভোটার৷ পরিবর্তে ভোটার মণীন্দ্র সেনের দাবি, ভোট দেওয়া তাঁর দায়িত্ব৷ তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেছেন৷
তিনি যদি সেই দায়িত্ব পালন করেন তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার তাঁর দায়িত্ব কেন পালন করলেন না? উঠছে প্রশ্ন। প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে জানতে চাওয়া হয়ে তিনি কালি না লাগানোর ঘটনা যে অনুচিত, তা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসারও৷ তবে একজন ভোটার কীভাবে নিজের এবং তাঁর মায়ের হয়ে কীভাবে ভোট দিতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রিসাইডিং আধিকারিকের দাবি, এজেন্টদের মতামত নিয়েই নাকি এমন কাণ্ড ঘটেছে৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতর নির্বাচনী আধিকারিক নাকি এজেন্টদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত? এই ঘটনার পর উঠছে সেই প্রশ্নও? শোনা যাচ্ছে, বুথে উপস্থিত বিজেপি এজেন্টের নির্দেশেই ঘটনা ঘটেছে এই বুথে।