কেশপুর থেকে চন্দ্রকোনার দিকে যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। সেই সময় রাধাবল্লভপুরের কাছে চন্দ্রকোনা রোডে হঠাৎই রাস্তার পাশে দাঁড়ানো কয়েক জন মমতার গাড়ি দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন। চকিতে মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থামিয়ে নেমে তাঁদের তাড়া করতেই পালিয়ে যান ওই ব্যক্তিরা।
এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে এই ধরনের অভব্যতা এক ‘পরিকল্পিত চক্রান্ত’। এর উদ্দেশ্য অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়া। তবে রাজ্যে এই ধরনের কাজ সফল হবে না। মমতার কথায়, ‘চন্দ্রকোনা রোডে কয়েকটা বাঁদর ছিল। ওরা রাজনীতি করে না। টাকা দিয়ে কয়েকটাকে কিনেছে। টাকার হুন্ডি নিয়ে নেমেছে। একটুও সৌজন্য জানে না, এমন রাজনৈতিক দল ভূ-ভারতে দেখিনি।’
রাজনৈতিক বিরোধ সত্ত্বেও পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘রাজনীতিতে লড়াই আপনিও করবেন। আমিও করব। আপনি আপনার কথা বলবেন। আমি আমার কথা বলব। কিন্তু আপনারা যে ভাবে আমার গাড়ির সামনে কয়েক জনকে দিয়ে গালাগাল করালেন। এ বার আমি যদি আমার কর্মীদের এটা করতে বলি, পরিস্থিতি কী হবে বুঝতে পারছেন?’ তিনি বিরোধীদের সঙ্গে ভদ্রতা করেন বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
তাঁর কথায়, ‘আপনাদের সংবিধানে ভদ্রতা, সভ্যতা নেই। আমরা সভ্যতা-সংস্কৃতি শিখেছি।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এক জন চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি।