বাংলা যে কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার সেকথা সবসময়েই বলে থাকেন তৃণমূলের নেতারা৷ উত্তর ২৪ পরগনারসীমান্তবর্তী ব্লক বাগদার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রেলপথের। কিন্তু কেন্দ্রের উদাসীনতায় আজও সেই রেলপথের কাজ শুরু হয়নি৷
বাগদা থেকে কলকাতা কিংবা শহরের অন্যান্য জায়গায় যেতে গেলে একমাত্র মাধ্যম বনগাঁ-বাগদা সড়কপথ। বাগদার হেলেঞ্চা-সহ একাধিক এলাকার মানুষদের বিভিন্ন প্রয়োজনে কলকাতা যেতে হয়। এর জন্য প্রথমে বাস ধরে বনগাঁ নামতে হয়। তারপর বনগাঁ স্টেশনে পৌঁছে সেখান থেকে ট্রেন ধরে যেতে হয় কলকাতা।বনগাঁ থেকে যশোর রোড ধরে কলকাতা যেতে হলে সময় লাগে অনেক বেশি লাগে। এছাড়া সমস্যাও হয় বিস্তর৷ কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফেরার পথে বনগাঁ পৌঁছতে রাত দশটা বেজে গেলে বনগাঁ থেকে বাগদা যাওয়ার কোন গাড়ি মেলে না৷ প্রয়োজনে অটো কিংবা অন্য গাড়ি ভাড়া করে অনেক বেশি টাকা খরচ করে তাঁদের ফিরতে হয় বাড়িতে।
বাগদা কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় সেখানে খেতের ফসল শহরে নিয়ে যেতেও সমস্যার সম্মুখীন হন কৃষকরা। এলাকায় কোনও সবজির যোগান বেশি থাকলে যাতায়াতের অসুবিধার কারণে বাধ্য হয়ে কম দামে সবজি বিক্রি করে দেন দালালদের৷ বাগদার এক কৃষক জগদীশ বিশ্বাস বলেন “রেলপথ থাকলে মালবাহী কামরায় সহজে কলকাতায় আমাদের সবজি নিয়ে যেতে পারতাম।”
মমতা থাকাকালীন বাগদাকে রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন বাগদার কয়েক লক্ষ মানুষ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলপথের জন্য কয়েক বছর আগে জমির মাপ নেওয়া শুরু হয়। কোন পথে যাবে রেললাইন, তা নিয়ে বাগদা-সহ বনগাঁ এলাকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আধিকারিকরা মাপজোক শুরু করেন। পরে বন্ধ হয়ে যায় সেসব কাজ। কিন্তু সেই সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। চালু হয়নি রেলপথ তৈরির কাজও৷ কেন্দ্রও কোনও উদ্যোগ নেয়নি৷