ভোট প্রচারে বেরিয়ে একের পর এক জনসভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ( তৃণমূলের) জেলা সভাপতির যা যোগ্যতা তা নরেন্দ্র মোদীর নেই।’ সেই সঙ্গেই তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্য, তাঁর দলের ব্লক সভাপতির যে যোগ্যতা, তা-ও নেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির।
শুধু তাই নয়, তাঁর প্রশ্ন, ‘বিজেপির এই নেতারা আদৌ কোনও দিন রাজনীতি করেছেন?’ গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি সরকারের পতন নিশ্চিত বলেও আরও একবার দাবি করেন মমতা। গতকাল হাওড়ার আন্দুলে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি থেকে বিজেপি সরকারের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।’ সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘বাংলায় ওদের দুটো ছিল। এবার গোল্লা পাবে।’ এরপরেই বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার উল্লেখ করে তিনি বিজেপির দুই প্রধান মুখ মোদী ও শাহের প্রশাসনিক যোগ্যতার কথা বলেন।
তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘ভোটের আগে আবার অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দির তৈরির কথা বলছেন। পাঁচ বছরে হাতের আঙুলের মাপের একটা মন্দিরও বানাতে পারেননি। অপদার্থগুলো কিছু করতে পারে না।’ তারপরই মমতার মন্তব্য, ‘ফেল করবে। পুরো ফেল করবে।’ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার ‘টিএমসি ট্যাক্স’-এর অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার জবাবে পাল্টা দিয়ে মমতা বলেন, ‘আমরা কোনও ট্যাক্স বসিয়েছি? ডিজেলের দাম আমি বাড়িয়েছি? গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। আমরা কোনও দাম বাড়াইনি।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিনাপয়সায় মানুষকে চিকিৎসা দিই। শিক্ষাশ্রী দিই। সবুজসাথী দিই। কিন্তু ওদের মুখে শুধু ঝুরঝুরে ফুরফুরে মিথ্যা কথা। তোতাপাখির ভোঁতা বুলি। লজ্জা নেই। প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যা বলেন।’ বিজেপির বিরুদ্ধে ফের সাম্প্রদায়িক প্রচারের অভিযোগ করেন মমতা বলেন, ‘কয়েকটা চোর, ডাকাত, চম্বলের ডাকাতকে ধরে এনে বলছে দাঙ্গা কর।’ পাশাপাশি সম্প্রতির বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন হিন্দু বিপদে পড়লে আমার যা লাগবে, মুসলমানের বিপদ হলেও আমার তেমনই লাগবে। আমি যতক্ষণ চেয়ারে আছি, রাজ্যের সকল ধর্মের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্যই কাজ করে যাব।’