ঘড়িতে সময় যত এগচ্ছে, হাওয়ার গতিবেগও ক্রমশ বাড়ছে। সমুদ্রের জল আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে। ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ফণী আছড়ে পড়ার জন্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে। গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর ঝড় হিসাবে আছড়ে পড়তে চলেছে ফণী। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল থেকেই স্কুল বন্ধ থাকবে। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ফণীর জেরে এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি৷ বন্ধ রাজ্যের সমস্ত সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল৷ বেসরকারী স্কুলে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ পাঠানো হয়নি।
সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে কাল থেকেই গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে শেষের দিকে ছুটি মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। যে কোনও পরস্থিতির জন্যে কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে আগাম সতর্কতা হিসাবে একটি জরুরি বৈঠক হয়ে গিয়েছে নবান্নে। সাইক্লোন আছড়ে পড়ার কীভাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ন। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২ নম্বর ব্লকে মোতায়েন হয়েছে এনডিআরএফ-এর একটি দল। গতকাল থেকেই দিঘায় পর্যটক ও বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য প্রচার চালাচ্ছে এনডিআরএফ কর্মীরা। এছাড়া এই মুহূর্তে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে এনডিআরএফ-র ৬টি টিম। পরিস্থিতি মোকাবিলার রণকৌশল স্থির করতে আজ নবান্নে আপাতকালীন বৈঠকও করেন এনডিআরএফ-এর ডেপুটি কম্যান্ডান্ট।